ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

যুক্তরাজ্য সফর সংক্রান্ত সরকারি চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিডা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যুক্তরাজ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ছাত্র সমিতি ইউকে (ডিইউএএইউকে)’র আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এক সরকারি কর্মকর্তার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।

বিডা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রবাসী ব্যক্তি সরকারি চিঠি (স্মারক নং ০৩.০৮.২৬৯০.০৬৮.২৫.০০১.২৫-৫০৩, তারিখ ১৯ অক্টোবর, ২০২৫) সম্পর্কে ভুল ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা প্রচার করেছেন, যিনি সম্ভবত সরকারি নথির ভাষা ও বৈশিষ্ট্য বুঝতে অক্ষম।

বিডা জানায়, দুঃখজনকভাবে, কিছু সংবাদমাধ্যমও যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওই বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার করেছে, যা একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি) থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

বিডার ব্যাখ্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনকে ডিইউএএইউকে’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

হারুনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তিনি পূর্বে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ছিলেন।

এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল-প্রবাসী সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে তাদেরকে উৎসাহিত করা।

বিডা নিশ্চিত করেছে, আশিক চৌধুরী যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বিডার ব্যাখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সফরের আর্থিক দিক নিয়ে।

সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে এই সফরে সরকারের কোনো আর্থিক দায়ভার ছিল না।

পুরো সফরের সমস্ত ব্যয় বহন করেছে ডিইউএএইউকে। সরকার এ সফরের জন্য কোনো আর্থিক সহায়তা বা ভাতা প্রদান করেনি।

বিডা সরকারি আদেশে উল্লেখিত একটি প্রশাসনিক দিক পরিষ্কার করেছে— চিঠিতে স্থানীয় মুদ্রায় বেতন ও ভাতা প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও, এটি সব সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো ব্যয় জড়িত নয়।

সরকারি চিঠিতে সর্বোচ্চ তিন দিনের সফরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরকারি দায়িত্বে ছিলেন এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার জবাবদিহিতা বজায় ছিল।

বিডা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, পুরো সফরটি সরকারি নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি কোনো গোপন বা অস্পষ্ট উদ্যোগ ছিল না।

বিভ্রান্তিকর, অসম্পূর্ণ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে বিডা সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

বিডা সরকারি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে সরাসরি বিডার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্য সফর সংক্রান্ত সরকারি চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিডা

আপডেট সময়ঃ ০৬:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যুক্তরাজ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ছাত্র সমিতি ইউকে (ডিইউএএইউকে)’র আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এক সরকারি কর্মকর্তার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।

বিডা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রবাসী ব্যক্তি সরকারি চিঠি (স্মারক নং ০৩.০৮.২৬৯০.০৬৮.২৫.০০১.২৫-৫০৩, তারিখ ১৯ অক্টোবর, ২০২৫) সম্পর্কে ভুল ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা প্রচার করেছেন, যিনি সম্ভবত সরকারি নথির ভাষা ও বৈশিষ্ট্য বুঝতে অক্ষম।

বিডা জানায়, দুঃখজনকভাবে, কিছু সংবাদমাধ্যমও যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওই বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার করেছে, যা একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি) থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

বিডার ব্যাখ্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনকে ডিইউএএইউকে’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

হারুনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তিনি পূর্বে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ছিলেন।

এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল-প্রবাসী সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে তাদেরকে উৎসাহিত করা।

বিডা নিশ্চিত করেছে, আশিক চৌধুরী যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বিডার ব্যাখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সফরের আর্থিক দিক নিয়ে।

সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে এই সফরে সরকারের কোনো আর্থিক দায়ভার ছিল না।

পুরো সফরের সমস্ত ব্যয় বহন করেছে ডিইউএএইউকে। সরকার এ সফরের জন্য কোনো আর্থিক সহায়তা বা ভাতা প্রদান করেনি।

বিডা সরকারি আদেশে উল্লেখিত একটি প্রশাসনিক দিক পরিষ্কার করেছে— চিঠিতে স্থানীয় মুদ্রায় বেতন ও ভাতা প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও, এটি সব সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো ব্যয় জড়িত নয়।

সরকারি চিঠিতে সর্বোচ্চ তিন দিনের সফরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরকারি দায়িত্বে ছিলেন এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার জবাবদিহিতা বজায় ছিল।

বিডা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, পুরো সফরটি সরকারি নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি কোনো গোপন বা অস্পষ্ট উদ্যোগ ছিল না।

বিভ্রান্তিকর, অসম্পূর্ণ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে বিডা সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

বিডা সরকারি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে সরাসরি বিডার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে।