ঢাকা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’, ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে বিবেচনা করবে ভারত, আর সন্ত্রাস মোকাবিলায় অবস্থান হবে কঠোর। পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে তিনি সতর্ক করেন, সন্ত্রাসে মদদ অব্যাহত থাকলে তা তাদের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে সন্ত্রাসী তৎপরতা অব্যাহত থাকলে ভারত কঠোর অবস্থান নেবে। তার ভাষায়, ‘আমরা আগেই বলেছি, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না; রক্ত ও পানি একসঙ্গে চলবে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে বিবেচনা করা হবে।’

অপারেশন সিন্দুরকে ‘৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার’ হিসেবে অভিহিত করে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সশস্ত্র বাহিনী ‘তাদের (পাকিস্তানকে) প্রতিবেশী দেশের সাথে কীভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয় তা শেখাতে’ প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘ভারত উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে মনোযোগী। কেউ আমাদের পথে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আজকের ভারত কোনো ব্ল্যাকমেইলে ভয় পায় না।’ তার দাবি, সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারতের ‘নিউ নরমাল’ এখন পাকিস্তানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জেনারেল দ্বিবেদী জানান, ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ‘আজকের সময় আমাদের প্রতিরোধশক্তি খুবই শক্তিশালী, কার্যকরও বটে,’ তিনি বলেন।

চীনকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, গত এক বছরে দুই দেশের নেতৃত্বের আলোচনার ফলে সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। তার দাবি, ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর সেখানে রাজনৈতিক স্পষ্টতা এসেছে এবং সন্ত্রাসবাদ অনেক কমেছে। মণিপুরের উন্নতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি ইঙ্গিত দেন, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও সেখানে সফরের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’, ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময়ঃ ০৩:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে বিবেচনা করবে ভারত, আর সন্ত্রাস মোকাবিলায় অবস্থান হবে কঠোর। পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে তিনি সতর্ক করেন, সন্ত্রাসে মদদ অব্যাহত থাকলে তা তাদের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে সন্ত্রাসী তৎপরতা অব্যাহত থাকলে ভারত কঠোর অবস্থান নেবে। তার ভাষায়, ‘আমরা আগেই বলেছি, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না; রক্ত ও পানি একসঙ্গে চলবে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে বিবেচনা করা হবে।’

অপারেশন সিন্দুরকে ‘৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার’ হিসেবে অভিহিত করে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সশস্ত্র বাহিনী ‘তাদের (পাকিস্তানকে) প্রতিবেশী দেশের সাথে কীভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয় তা শেখাতে’ প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘ভারত উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে মনোযোগী। কেউ আমাদের পথে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আজকের ভারত কোনো ব্ল্যাকমেইলে ভয় পায় না।’ তার দাবি, সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারতের ‘নিউ নরমাল’ এখন পাকিস্তানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জেনারেল দ্বিবেদী জানান, ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ‘আজকের সময় আমাদের প্রতিরোধশক্তি খুবই শক্তিশালী, কার্যকরও বটে,’ তিনি বলেন।

চীনকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, গত এক বছরে দুই দেশের নেতৃত্বের আলোচনার ফলে সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। তার দাবি, ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর সেখানে রাজনৈতিক স্পষ্টতা এসেছে এবং সন্ত্রাসবাদ অনেক কমেছে। মণিপুরের উন্নতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি ইঙ্গিত দেন, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও সেখানে সফরের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন।