০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

যে কোনো সময় খালেদার মুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার চাইলে যে কোনো সময় খালেদা জিয়ার দ- স্থগিতের আদেশ বাতিল করতে পারে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারকে বহু আগেই ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন ছিল বিএনপির। কারণ বিএনপি নেত্রী খালদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি কিংবা আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। প্রধানমন্ত্রী আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সাজা স্থগিত করেছেন। সেই কারণে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এজন্য তো বিএনপির শুকরিয়া আদায় করা উচিত, সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু সরকার যে কোনো সময় চাইলে সেই আদেশ বাতিল করতে পারে। সেই আদেশ যদি আগামীকাল বাতিল হয়, আগামীকালই খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত যেতে হবে। এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সাড়ে ১২ বছর ধরে এ দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জনগণ তো তাদের আহ্বান সাড়া দেয়নি। সাড়া দেয়ার কোনো কারণও নেই। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতোপূর্বে বহু নির্বাচন অত্যন্ত সফলভাবে করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সেজন্য বিএনপিকে বলব, এই ধরনের ফাঁকা বুলি আউরিয়ে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।’ এ সময় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ ফোরামের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পহেলা বৈশাখে কোনো হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যে কোনো সময় খালেদার মুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার চাইলে যে কোনো সময় খালেদা জিয়ার দ- স্থগিতের আদেশ বাতিল করতে পারে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারকে বহু আগেই ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন ছিল বিএনপির। কারণ বিএনপি নেত্রী খালদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি কিংবা আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। প্রধানমন্ত্রী আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সাজা স্থগিত করেছেন। সেই কারণে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এজন্য তো বিএনপির শুকরিয়া আদায় করা উচিত, সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু সরকার যে কোনো সময় চাইলে সেই আদেশ বাতিল করতে পারে। সেই আদেশ যদি আগামীকাল বাতিল হয়, আগামীকালই খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত যেতে হবে। এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সাড়ে ১২ বছর ধরে এ দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জনগণ তো তাদের আহ্বান সাড়া দেয়নি। সাড়া দেয়ার কোনো কারণও নেই। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতোপূর্বে বহু নির্বাচন অত্যন্ত সফলভাবে করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সেজন্য বিএনপিকে বলব, এই ধরনের ফাঁকা বুলি আউরিয়ে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।’ এ সময় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ ফোরামের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।