রপ্তানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ চায় বিজিএমইএ

- আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
- / ১০২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। এ সুবিধা আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখলে শিল্পটি বর্তমান সংকটকালীনও স্বস্তিতে থাকবে বলে জানায় সংগঠনটি। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে বিজিএমইএ পর্ষদের মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি। তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকরের দাবি জানাই। এটি কার্যকর রাখলে শিল্পটি বর্তমান সংকটকালীনও স্বস্তিতে থাকবে। এস এম মান্নান কচি বলেন, আমাদের রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করা হোক। একই সঙ্গে প্রণোদনার জন্য দেওয়া নগদ অর্থ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানাই। আমরা চাই ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখা হোক, পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা হোক। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আসন্ন বাজেটে রপ্তানির স্বার্থে অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির ওপর কর রেয়াত এবং এসব পণ্য বিকল বা নষ্ট হলে প্রতিস্থাপনর জন্য রেয়াতি হারে আমদানির সুযোগ দেওয়া যুক্তিযুক্ত। শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ তহবিল বরাদ্দ ও নন-কটন পোশাক রপ্তানি ও বিনিয়োগে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য প্রস্তাবিত এসব সুবিধা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাকশিল্পের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কোনো কারণে সরকারের সহযোগিতা বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবো। বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এস এম মান্নান কচি বলেন, অমরা ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাকশিল্প হতে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতি সহায়তা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। এ সহায়তা না পেলে লক্ষ্য পৌঁছানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। সরকার অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে অর্থনীতিকে পরিচালনা করছে, যার প্রশংসা আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পাচ্ছি। আমাদের একান্ত প্রত্যাশা, সরকার শিল্পের জন্য সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। মনে রাখা জরুরি, সহযোগিতা কোনো কারণে বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবো, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এরইমধ্যে আমাদের সরাসরি রপ্তানিকারী কারখানার সংখ্যা পাঁচ হাজার থেকে দুই হাজার ২০০-তে নেমে এসেছে। আমরা যদি কারখানাগুলো টিকিয়ে রাখতে পারতাম, তাহলে রপ্তানি আরও বাড়তো এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। তবে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত হিসেবে পোশাকশিল্পের সন্তাবনা ও সক্ষমতা রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর এবং আরও কর্মসংস্থান তৈরি করার। বিশ্ববাজারে আমাদের শেয়ার মাত্র ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের সামনে সুযোগ অপরিসীম। সরকারের সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাকখাত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা এবং স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ সময় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, সিদ্দিকুর রহমানসহ বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।