০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

রাজধানীতে ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্য গ্রেপ্তার

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • ৩১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসব চক্রের সদস্যরা ঈদ সামনে রেখে বড় ধরনের ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল। র‌্যাব জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওত পেতে থাকতো গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা। সুযোগ পেলেই পথচারী, বাসযাত্রী, মোটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতো। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠতো। ছিনতাই কাজে বাধা দিলে নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতেও দ্বিধা করতো না তারা। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত র‌্যাব-১ এর কয়েকটি আভিযানিক দল ছিনতাইকারী চক্রের এই সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বোরহান (২৪), মো. ইমরান হোসেন (২৫), তুহিন (২২), মো. জাহিদুল ইসলাম মাহমুদ (২০), মো. শিপন হুসাইন (২৩), মো. আশিকুর রহমান আশিক (২১), মো. শাহ জালাল (২৬), মো. মিরাজ (২১), নুর নবী (২২), মো. আশিক (২০), মো. মেহেদী হাসান হৃদয় (২০), মো. শাকিল (২০), মো. আকবর আলী (২৪), মো. রাসেল খা (২৪), মো. রাসেল ব্যাপারী (২৮), মো. সুজন তালুকদার (২২), মো. বাবুল (২৪), টুকু মিয়া (২২), আব্দুল্লাহ (২২), মো. ফয়সাল (২৩), জহরুল মিয়া (২০), মো. পারভেজ (২৭), মো. আসিফ (২২), মো. নিশান উদ্দিন (৩০), মো. জুয়েল (৩৫), মো. বিজয় হোসেন (১৯), আবুল কাশেম (৪০), মো. শফিক উদ্দিন (২৫), মো. রানা (২৮), মো. মাহবুব (২৬) ও মো. শাকিল শেখ (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত আটটি বিষাক্ত মলম, একটি কুড়াল সদৃশ দেশীয় অস্ত্র, দুটি লোহার রড, ১১টি ছুরি, তিনটি লোহা কাটার হ্যাকসো ব্লেড, ১০টি চাকু, চারটি গামছা, ছিনতাই করা ১৮টি মোবাইল ফোন এবং নগদ আড়াই হাজার টাকা জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বলেন, গুলশান এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. বোরহান, তার সহযোগী তিনজন। বনানী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শিপন হুসাইন ও নূর নবী এবং তাদের সহযোগী ৫ জন। ভাটারা এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. শাকিল, তার সহযোগী তিনজন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা সুজন তালুকদার, তার সহযোগী দুজন। বাড্ডা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. আব্দুল্লাহ, তার সহযোগী দুজন। টঙ্গী এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ, তার সহযোগী তিনজন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. পারভেজ, তার সহযোগী দুজন। তুরাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. রানা, তার সহযোগী দুজন। তাদের নির্দেশে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা এসব এলাকায় ছিনতাই করতো। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, ছিনতাই চক্রের সবাই স্বল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত। তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে ড্যান্ডি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তারা কেউ কেউ বাস/লেগুনার হেলপার, ওয়ার্কসপের শ্রমিক, দিনমজুর, টোকাই, মাছ/কাঁচামালের আড়তে কাজ করে। প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের ফাঁকে ছিনতাই কাজ চালিয়ে আসছিল বলেও স্বীকার করেছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা যাত্রীরা যেন নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করে নির্বিঘেœ স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পারে এ লক্ষ্যে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি এবং মলমপার্টি চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া রাজধানীর রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩। এ সময় অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিক (২৮), হৃদয় (২০), ওমর ফারুক (২৪), শরিফুল ইসলাম (২২), এনামুল হক (২২), সুজন (২৮), আশরাফুল ইসলাম (২২), সোহাগ (২০), রাসেল (২৫), মনির হোসেন (২৪), সুজন মিয়া (২০), বাহারাম (৪৮), সুমন হোসেন (৪৫) ও হারুন সরদার (৫৫)। গ্রেপ্তাদের সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি কাঁচি, দুটি অ্যান্টিকাটার, চারটি ব্লেড ও ১২টি বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন এলাকায় তারা ঘোরাফেরা করেন। সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে ডাব, কোমল পানীয় কিংবা পানির সঙ্গে বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ খাওয়াতেন তারা। আবার কখনো কখনো বাস ও ট্রেনে যাত্রীদের পাশে বসে তাদের নাকের কাছে চেতনানাশক ওষুধ ভেজানো রুমাল ধরে তাদের অজ্ঞান করতেন। এরপর ওই যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে সটকে পড়তেন তারা। তিনি বলেন, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ওত পেতে থাকতেন। সুযোগ পাওয়া মাত্রই পথচারী, রিকশাআরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিতেন। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক কম মানুষ চলাচল করে এমন রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাই করতেন তারা। ছিনতাইকাজে বাধা দিলে নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতেও পিছপা হতেন না ওই চক্রের সদস্যরা। রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, হাতিরঝিলের নাসিরের টেক, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, পল্টন মোড়, গোলাপ শাহ মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আবদুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি ছিল বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য নিধন প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান

রাজধানীতে ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসব চক্রের সদস্যরা ঈদ সামনে রেখে বড় ধরনের ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল। র‌্যাব জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওত পেতে থাকতো গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা। সুযোগ পেলেই পথচারী, বাসযাত্রী, মোটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতো। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠতো। ছিনতাই কাজে বাধা দিলে নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতেও দ্বিধা করতো না তারা। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত র‌্যাব-১ এর কয়েকটি আভিযানিক দল ছিনতাইকারী চক্রের এই সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বোরহান (২৪), মো. ইমরান হোসেন (২৫), তুহিন (২২), মো. জাহিদুল ইসলাম মাহমুদ (২০), মো. শিপন হুসাইন (২৩), মো. আশিকুর রহমান আশিক (২১), মো. শাহ জালাল (২৬), মো. মিরাজ (২১), নুর নবী (২২), মো. আশিক (২০), মো. মেহেদী হাসান হৃদয় (২০), মো. শাকিল (২০), মো. আকবর আলী (২৪), মো. রাসেল খা (২৪), মো. রাসেল ব্যাপারী (২৮), মো. সুজন তালুকদার (২২), মো. বাবুল (২৪), টুকু মিয়া (২২), আব্দুল্লাহ (২২), মো. ফয়সাল (২৩), জহরুল মিয়া (২০), মো. পারভেজ (২৭), মো. আসিফ (২২), মো. নিশান উদ্দিন (৩০), মো. জুয়েল (৩৫), মো. বিজয় হোসেন (১৯), আবুল কাশেম (৪০), মো. শফিক উদ্দিন (২৫), মো. রানা (২৮), মো. মাহবুব (২৬) ও মো. শাকিল শেখ (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত আটটি বিষাক্ত মলম, একটি কুড়াল সদৃশ দেশীয় অস্ত্র, দুটি লোহার রড, ১১টি ছুরি, তিনটি লোহা কাটার হ্যাকসো ব্লেড, ১০টি চাকু, চারটি গামছা, ছিনতাই করা ১৮টি মোবাইল ফোন এবং নগদ আড়াই হাজার টাকা জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বলেন, গুলশান এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. বোরহান, তার সহযোগী তিনজন। বনানী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শিপন হুসাইন ও নূর নবী এবং তাদের সহযোগী ৫ জন। ভাটারা এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. শাকিল, তার সহযোগী তিনজন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা সুজন তালুকদার, তার সহযোগী দুজন। বাড্ডা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. আব্দুল্লাহ, তার সহযোগী দুজন। টঙ্গী এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ, তার সহযোগী তিনজন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. পারভেজ, তার সহযোগী দুজন। তুরাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. রানা, তার সহযোগী দুজন। তাদের নির্দেশে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা এসব এলাকায় ছিনতাই করতো। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, ছিনতাই চক্রের সবাই স্বল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত। তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে ড্যান্ডি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তারা কেউ কেউ বাস/লেগুনার হেলপার, ওয়ার্কসপের শ্রমিক, দিনমজুর, টোকাই, মাছ/কাঁচামালের আড়তে কাজ করে। প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের ফাঁকে ছিনতাই কাজ চালিয়ে আসছিল বলেও স্বীকার করেছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা যাত্রীরা যেন নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করে নির্বিঘেœ স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পারে এ লক্ষ্যে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি এবং মলমপার্টি চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া রাজধানীর রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩। এ সময় অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিক (২৮), হৃদয় (২০), ওমর ফারুক (২৪), শরিফুল ইসলাম (২২), এনামুল হক (২২), সুজন (২৮), আশরাফুল ইসলাম (২২), সোহাগ (২০), রাসেল (২৫), মনির হোসেন (২৪), সুজন মিয়া (২০), বাহারাম (৪৮), সুমন হোসেন (৪৫) ও হারুন সরদার (৫৫)। গ্রেপ্তাদের সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি কাঁচি, দুটি অ্যান্টিকাটার, চারটি ব্লেড ও ১২টি বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন এলাকায় তারা ঘোরাফেরা করেন। সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে ডাব, কোমল পানীয় কিংবা পানির সঙ্গে বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ খাওয়াতেন তারা। আবার কখনো কখনো বাস ও ট্রেনে যাত্রীদের পাশে বসে তাদের নাকের কাছে চেতনানাশক ওষুধ ভেজানো রুমাল ধরে তাদের অজ্ঞান করতেন। এরপর ওই যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে সটকে পড়তেন তারা। তিনি বলেন, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ওত পেতে থাকতেন। সুযোগ পাওয়া মাত্রই পথচারী, রিকশাআরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিতেন। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক কম মানুষ চলাচল করে এমন রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাই করতেন তারা। ছিনতাইকাজে বাধা দিলে নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতেও পিছপা হতেন না ওই চক্রের সদস্যরা। রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, হাতিরঝিলের নাসিরের টেক, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, পল্টন মোড়, গোলাপ শাহ মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আবদুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি ছিল বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।