০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

রাজধানীতে ১৫৮ চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অজুখানা থেকে এক ব্যক্তির আইফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্তে নেমে একটি চোর চক্রের সন্ধান পায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। পরে গত সোম ও গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে চালিয়ে ১৫৮টি চোরাই মোবাইল উদ্ধারসহ চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ডিবি বলছে, শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল বিক্রয়কারীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে। ুেগ্রপ্তার চক্রের সদস্যরা হলেন- মনির হোসেন (২৮), মো. মোতাহার হোসেন (৫৫), মো. সুরুজ হোসেন (২২), মো. শাহজালাল (২৩), মো. মেহেদী হাসান (২০), কুমার সানি (২৫), মো. হৃদয় (২৫) ও শামীম ওসমান (১৯)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৫৮টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ এবং নগদ এক লাখ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, চোরাই মোবাইল বিক্রির কারণে চোররা অনুপ্রাণিত হয়। এ কারণে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া মোবাইল চুরির ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করা হলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এতে চোররা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৯ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১০নং সেক্টর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের অজুখানা থেকে একজন ব্যক্তির একটি আইফোন চুরির ঘটনায় একটি মামলার তদন্তে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল চুরিসহ সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীতে মোবাইল চুরি ও ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা। মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা নয়। তবে খুব দ্রুতই এসব ঘটনার মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এ কারণে আসামি বা অপরাধীরা দ্রুতই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। তারা কারাগার থেকে বের হয়ে আবার একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। গত রমজানেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। অনেক ক্ষেত্রে কোনো সিম ব্যবহার না করার শর্তে বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকে। মোবাইল ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা পুরোনো মোবাইল বিক্রি করুন। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু চোরাই মোবাইল কোনোভাবেই বিক্রি বা মজুত করা যাবে না। যদি কারও কাছে চোরাই মোবাইল পাওয়া যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মোবাইল বিক্রেতা, টেকনিশিয়ান, চোর ও ছিনতাইকারীরা রয়েছেন। বর্তমানে মোবাইলের চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণে রাস্তা-ঘাটে বা কোনো অনুষ্ঠানে মোবাইল বেশি চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য নিধন প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান

রাজধানীতে ১৫৮ চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অজুখানা থেকে এক ব্যক্তির আইফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্তে নেমে একটি চোর চক্রের সন্ধান পায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। পরে গত সোম ও গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে চালিয়ে ১৫৮টি চোরাই মোবাইল উদ্ধারসহ চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ডিবি বলছে, শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল বিক্রয়কারীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে। ুেগ্রপ্তার চক্রের সদস্যরা হলেন- মনির হোসেন (২৮), মো. মোতাহার হোসেন (৫৫), মো. সুরুজ হোসেন (২২), মো. শাহজালাল (২৩), মো. মেহেদী হাসান (২০), কুমার সানি (২৫), মো. হৃদয় (২৫) ও শামীম ওসমান (১৯)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৫৮টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ এবং নগদ এক লাখ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, চোরাই মোবাইল বিক্রির কারণে চোররা অনুপ্রাণিত হয়। এ কারণে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া মোবাইল চুরির ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করা হলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এতে চোররা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৯ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১০নং সেক্টর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের অজুখানা থেকে একজন ব্যক্তির একটি আইফোন চুরির ঘটনায় একটি মামলার তদন্তে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল চুরিসহ সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীতে মোবাইল চুরি ও ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা। মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা নয়। তবে খুব দ্রুতই এসব ঘটনার মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এ কারণে আসামি বা অপরাধীরা দ্রুতই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। তারা কারাগার থেকে বের হয়ে আবার একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। গত রমজানেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। অনেক ক্ষেত্রে কোনো সিম ব্যবহার না করার শর্তে বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকে। মোবাইল ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা পুরোনো মোবাইল বিক্রি করুন। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু চোরাই মোবাইল কোনোভাবেই বিক্রি বা মজুত করা যাবে না। যদি কারও কাছে চোরাই মোবাইল পাওয়া যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মোবাইল বিক্রেতা, টেকনিশিয়ান, চোর ও ছিনতাইকারীরা রয়েছেন। বর্তমানে মোবাইলের চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণে রাস্তা-ঘাটে বা কোনো অনুষ্ঠানে মোবাইল বেশি চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।