ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক( ডিজি), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন। এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেন রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। ওই চিঠিতে বলা হয়, গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাতাসের মান খারাপ ছিল গত ১৪ ডিসেম্বর যাতে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮। অর্থাৎ বায়ুমান সূচক ০-৫০ থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয় ৫১-১০০ হলে তা সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১-৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। ৩০১ বা তার বেশি এ কিউআই স্কোরকে দুর্যোগ পূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ^ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণে তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সারা বিশে^র ১২৪টি দূষিত নগরীর মধ্যে ঢাকা ছিল দূষণের দিক থেকে প্রথম। এই দিন ঢাকার বাতাসের বায়ুমান ছিল ২৫০। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এ অবস্থায় ঢাকার বাতাস পরিশোধনের জন্য পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে যদি পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে খুব দ্রুত ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যথা পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল

আপডেট সময়ঃ ১০:১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক( ডিজি), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন। এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেন রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। ওই চিঠিতে বলা হয়, গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাতাসের মান খারাপ ছিল গত ১৪ ডিসেম্বর যাতে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮। অর্থাৎ বায়ুমান সূচক ০-৫০ থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয় ৫১-১০০ হলে তা সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১-৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। ৩০১ বা তার বেশি এ কিউআই স্কোরকে দুর্যোগ পূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ^ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণে তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সারা বিশে^র ১২৪টি দূষিত নগরীর মধ্যে ঢাকা ছিল দূষণের দিক থেকে প্রথম। এই দিন ঢাকার বাতাসের বায়ুমান ছিল ২৫০। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এ অবস্থায় ঢাকার বাতাস পরিশোধনের জন্য পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে যদি পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে খুব দ্রুত ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যথা পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।