ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন স্থগিত থাকবে ৬ মাস

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রানা প্লাজা ধসে হাজারেরও বেশী মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনের মালিক সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি ৬ মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই ৬ মাস তার জামিন স্থগিত থাকবে বলেছেন আদালত। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। এর আগে গত ৮ মে রানা প্লাজা ধসে সহ¯্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা যখন বিচার করি তখন আমাদের ভাবতে হয় যে- ওই ঘটনায় মারা যাওয়া প্রায় ১১০০ লাশ আমাদের সামনে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও ন্যায়বিচার চান। তাই এখনই সোহেল রানাকে জামিন দিচ্ছি না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। শুনানিকালে রানার আইনজীবী কামরুল ইসলাম জামিন চেয়ে আদালতকে বলেন, দশ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। তাই এখন তাকে জামিন দিন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আরও ছয় মাস থাকুক। এরপর দেখা যাবে। আইনজীবী কামরুল ইসলাম আবারও ন্যায়বিচারের কথা বলে জামিন প্রার্থনা করলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা যখন বিচার করি তখন আমাদের এভাবে ভাবতে হয় যে, এই ঘটনায় (রানা প্লাজা ধস) মারা যাওয়া প্রায় ১১০০ লাশ আমাদের সামনে। আর তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আরেক পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ন্যায়বিচার চাইছেন। এরপর আপিল বিভাগ সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি ছয় মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেন। গত ৬ এপ্রিল এ মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু পরে ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ফলে রানার মুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। এর আগে গত বছরের মার্চে রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলকে যথাযথ ঘোষণা করেই গত ৬ এপ্রিল তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় প্রায় ১৩শ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা। এদিকে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন নামঞ্জুর করা ও সোহেল রানাসহ মামলার সব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াসহ ১৪ দফা দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান। সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো, জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্য সব আসামির জামিন বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করা। সব ক্রেতা ও ব্র্যান্ডকে অ্যাকর্ড চুক্তিতে স্বাক্ষর করা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করা। ইপিজেডসহ সব কারখানায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দর কষাকষি করার স্বাধীনতা দেওয়া। সব ক্রেতা ব্র্যান্ড ও মালিকদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বিমায় অংশগ্রহণ করা। সব শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বিমার আওতায় আনা। সব শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সব শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সব প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন ও আইএলও সনদ ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসে সরকারি হিসাবে এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান এবং আড়াই হাজার শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সহ¯্রাধিক শ্রমিক। সময়ের সাথে সাথে এই শ্রমিকদের দুর্ভোগ, দুর্দশা ও মানবেতর জীবনের চিত্র সবার গোচরের আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে অন্তত এক হাজার শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছেন। তিনি আরও বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানা, ৫টি গার্মেন্টস মালিক ও সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হলে সরকার বিভিন্ন আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে, যা গত ১০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। এর মধ্যে সোহেল রানা ব্যতীত মামলার বাকি সব আসামি জামিনে আছেন। কিছুদিন আগে সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর হলে দেশের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে গত ৮ মে সোহেল রানা জামিন না পেলেও তার জামিনের বিষয়ে আপিল বিভাগে জামিন শুনানি ১০ জুলাই। তাই এই সমাবেশ থেকে আমরা সোহেল রানার জামিন না মঞ্জুরসহ ১৪ দফা দাবি জানাই। এ সময় সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উর্মি আক্তার, প্রচার সম্পাদক ইয়াহিয়া খানসহ বিভিন্ন এলাকার ৪০টি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গার্মেন্টস শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন স্থগিত থাকবে ৬ মাস

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রানা প্লাজা ধসে হাজারেরও বেশী মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনের মালিক সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি ৬ মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই ৬ মাস তার জামিন স্থগিত থাকবে বলেছেন আদালত। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। এর আগে গত ৮ মে রানা প্লাজা ধসে সহ¯্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা যখন বিচার করি তখন আমাদের ভাবতে হয় যে- ওই ঘটনায় মারা যাওয়া প্রায় ১১০০ লাশ আমাদের সামনে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও ন্যায়বিচার চান। তাই এখনই সোহেল রানাকে জামিন দিচ্ছি না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। শুনানিকালে রানার আইনজীবী কামরুল ইসলাম জামিন চেয়ে আদালতকে বলেন, দশ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। তাই এখন তাকে জামিন দিন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আরও ছয় মাস থাকুক। এরপর দেখা যাবে। আইনজীবী কামরুল ইসলাম আবারও ন্যায়বিচারের কথা বলে জামিন প্রার্থনা করলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা যখন বিচার করি তখন আমাদের এভাবে ভাবতে হয় যে, এই ঘটনায় (রানা প্লাজা ধস) মারা যাওয়া প্রায় ১১০০ লাশ আমাদের সামনে। আর তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আরেক পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ন্যায়বিচার চাইছেন। এরপর আপিল বিভাগ সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি ছয় মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেন। গত ৬ এপ্রিল এ মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু পরে ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ফলে রানার মুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। এর আগে গত বছরের মার্চে রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলকে যথাযথ ঘোষণা করেই গত ৬ এপ্রিল তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় প্রায় ১৩শ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা। এদিকে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন নামঞ্জুর করা ও সোহেল রানাসহ মামলার সব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াসহ ১৪ দফা দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান। সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো, জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্য সব আসামির জামিন বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করা। সব ক্রেতা ও ব্র্যান্ডকে অ্যাকর্ড চুক্তিতে স্বাক্ষর করা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করা। ইপিজেডসহ সব কারখানায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দর কষাকষি করার স্বাধীনতা দেওয়া। সব ক্রেতা ব্র্যান্ড ও মালিকদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বিমায় অংশগ্রহণ করা। সব শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বিমার আওতায় আনা। সব শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সব শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সব প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন ও আইএলও সনদ ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসে সরকারি হিসাবে এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান এবং আড়াই হাজার শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সহ¯্রাধিক শ্রমিক। সময়ের সাথে সাথে এই শ্রমিকদের দুর্ভোগ, দুর্দশা ও মানবেতর জীবনের চিত্র সবার গোচরের আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে অন্তত এক হাজার শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছেন। তিনি আরও বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানা, ৫টি গার্মেন্টস মালিক ও সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হলে সরকার বিভিন্ন আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে, যা গত ১০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। এর মধ্যে সোহেল রানা ব্যতীত মামলার বাকি সব আসামি জামিনে আছেন। কিছুদিন আগে সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর হলে দেশের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে গত ৮ মে সোহেল রানা জামিন না পেলেও তার জামিনের বিষয়ে আপিল বিভাগে জামিন শুনানি ১০ জুলাই। তাই এই সমাবেশ থেকে আমরা সোহেল রানার জামিন না মঞ্জুরসহ ১৪ দফা দাবি জানাই। এ সময় সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উর্মি আক্তার, প্রচার সম্পাদক ইয়াহিয়া খানসহ বিভিন্ন এলাকার ৪০টি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গার্মেন্টস শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।