ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

রাবি অধ্যাপক হত্যা: ফাঁসি স্থগিত চেয়ে জাহাঙ্গীরের করা রিট খারিজ

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৫৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তাহের হত্যা মামলায় আরেকজন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি হলেন অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এরমধ্যে জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে তার ভাই রিট করেছিলেন। তবে মহিউদ্দিনের বিষয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি। নিহত ড. এস তাহের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ছিলেন তাহেরের সহকর্মী একই বিভাগের শিক্ষক ও সহযোগী অধ্যাপক। আর তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন জাহাঙ্গীর। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো রাসেল চৌধুরী। এ ছাড়া শুনানিতে অধ্যাপক তাহেরের আইনজীবী কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবি শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসা থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের। পরদিন বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় দুজনের মৃত্যুদ- এবং জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল হোসেন ও শ্যালক আবদুস সালামকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন উচ্চ আদালত। তবে খালাস পান রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী। এরমধ্যে মৃত্যুদ- পাওয়া আসামিদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি। আপিল ও রিভিউ পিটিশন খারিজের পর আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে জেল কোড অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের সেই উদ্যোগ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর। ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এসএন গোস্বামী রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদ- কার্যকর স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পেন্ডিং। রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচের পর জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সেগুফতা তাবাসুম আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন নাকচ করলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো আইনজীবী এমন রিট করতে পারেন না। আমি বাকরুদ্ধ। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এই খুনের মামলায় বিচারিক আদালত মৃত্যুদ-ের যে রায় দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। সেই আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি করে হাইকোর্ট দুই খুনির ফাঁসি বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে যান। সেখানে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষ তাদের নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখন রিট আবেদনে আসামি পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ (গ্রেপ্তার ও রিমান্ড প্রসঙ্গ) আনা হয়েছে তা আপিল শুনানিতে তুলে ধরেছিলেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও এর জবাব দেওয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে আসামিপক্ষের বক্তব্যকে খ-ন করেন আপিল বিভাগ। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেখানে আপিল বিভাগ বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সেখানে পুনরায় একই বিষয়ে রিট এনে আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণে বাধা দেওয়া আদালতের রায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন বলেই মনে করি। এই মামলার তদন্ত শেষে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, তাহের জীবিত থাকলে কখনোই পদোন্নতি পাবেন না-এমন ধারণা থেকেই ষড়যন্ত্র ও খুনিদের প্রলোভন দিয়ে তাকে খুন করান মিয়া মো. মহিউদ্দিন। এরপর তার পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক খুনিরা ড. তাহেরকে হত্যা করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেন। এই মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। খালাস দেওয়া হয় দুজনকে। ফাঁসির রায় দেওয়া হয় মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আবদুস সালামকে। এরপর হাইকোর্ট ২০১৩ সালে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসি বহাল রাখেন। সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয় নাজমুল ও সালামকে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। সেই রায় পুনবির্বেচনা চেয়ে রিভিউ করেন তিন আসামি। আপিল বিভাগ সব রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই গত সপ্তাহে এই রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ পায়। সেই রায়ের অনুলিপি পৌঁছে কারা কর্তৃপক্ষের হাতে। করা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরে উদ্যোগ নেয়। এরপরই মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের পক্ষে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করা হয়। সেই রিট দাখিলের তথ্য ৩ মে মেইলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান ওই দুই আসামির কৌসুলি এম তাজুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের আটক, গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়েছে। তাই এক আসামির ভাই ও আরেক আসামির স্ত্রী পৃথক রিট করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রাবি অধ্যাপক হত্যা: ফাঁসি স্থগিত চেয়ে জাহাঙ্গীরের করা রিট খারিজ

আপডেট সময়ঃ ১০:৫৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তাহের হত্যা মামলায় আরেকজন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি হলেন অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এরমধ্যে জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে তার ভাই রিট করেছিলেন। তবে মহিউদ্দিনের বিষয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি। নিহত ড. এস তাহের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ছিলেন তাহেরের সহকর্মী একই বিভাগের শিক্ষক ও সহযোগী অধ্যাপক। আর তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন জাহাঙ্গীর। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো রাসেল চৌধুরী। এ ছাড়া শুনানিতে অধ্যাপক তাহেরের আইনজীবী কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবি শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসা থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের। পরদিন বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় দুজনের মৃত্যুদ- এবং জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল হোসেন ও শ্যালক আবদুস সালামকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন উচ্চ আদালত। তবে খালাস পান রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী। এরমধ্যে মৃত্যুদ- পাওয়া আসামিদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি। আপিল ও রিভিউ পিটিশন খারিজের পর আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে জেল কোড অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের সেই উদ্যোগ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর। ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এসএন গোস্বামী রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদ- কার্যকর স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পেন্ডিং। রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচের পর জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সেগুফতা তাবাসুম আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন নাকচ করলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো আইনজীবী এমন রিট করতে পারেন না। আমি বাকরুদ্ধ। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এই খুনের মামলায় বিচারিক আদালত মৃত্যুদ-ের যে রায় দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। সেই আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি করে হাইকোর্ট দুই খুনির ফাঁসি বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে যান। সেখানে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষ তাদের নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখন রিট আবেদনে আসামি পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ (গ্রেপ্তার ও রিমান্ড প্রসঙ্গ) আনা হয়েছে তা আপিল শুনানিতে তুলে ধরেছিলেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও এর জবাব দেওয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে আসামিপক্ষের বক্তব্যকে খ-ন করেন আপিল বিভাগ। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেখানে আপিল বিভাগ বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সেখানে পুনরায় একই বিষয়ে রিট এনে আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণে বাধা দেওয়া আদালতের রায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন বলেই মনে করি। এই মামলার তদন্ত শেষে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, তাহের জীবিত থাকলে কখনোই পদোন্নতি পাবেন না-এমন ধারণা থেকেই ষড়যন্ত্র ও খুনিদের প্রলোভন দিয়ে তাকে খুন করান মিয়া মো. মহিউদ্দিন। এরপর তার পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক খুনিরা ড. তাহেরকে হত্যা করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেন। এই মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। খালাস দেওয়া হয় দুজনকে। ফাঁসির রায় দেওয়া হয় মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আবদুস সালামকে। এরপর হাইকোর্ট ২০১৩ সালে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসি বহাল রাখেন। সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয় নাজমুল ও সালামকে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। সেই রায় পুনবির্বেচনা চেয়ে রিভিউ করেন তিন আসামি। আপিল বিভাগ সব রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই গত সপ্তাহে এই রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ পায়। সেই রায়ের অনুলিপি পৌঁছে কারা কর্তৃপক্ষের হাতে। করা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরে উদ্যোগ নেয়। এরপরই মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের পক্ষে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করা হয়। সেই রিট দাখিলের তথ্য ৩ মে মেইলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান ওই দুই আসামির কৌসুলি এম তাজুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের আটক, গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়েছে। তাই এক আসামির ভাই ও আরেক আসামির স্ত্রী পৃথক রিট করেছেন।