রিজভী ফের ছোট কারাগারে যেতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে: হাছান

- আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
- / ১১৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যদি আবারও ‘ছোট কারাগারে’ যেতে চান তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রিজভীর এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেন তিনি। আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। তখন তিনি গত মঙ্গলবার রুহুল কবির রিজভী জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যে বক্তব্য দেন সে বিষয়ে কথা বলেন। ওইদিন রিজভী বলেছিলেন, ছোট কারাগার থেকে বৃহত্তর কারাগারে প্রবেশ করেছি। রিজভীর এই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক চর্চা ভারতসহ অনেক দেশের চেয়েও উন্নত। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেক বেশি। রিজভী কারাগার থেকে বের হয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতেই প্রমাণিত যে বাকস্বাধীনতা এ দেশে নিশ্চিত রয়েছে। তিনি ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছেন। তিনি যদি আবার ছোট কারাগারে যেতে চান, তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে বিরোধী দল সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা, এমনকি মাঝেমধ্যে রাতের বেলা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, যেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে, তা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নেই। আমি বিএনপিকে বেশি দূরে যেতে বলবো না। তারা যাতে ভারতের দিকে একটু তাকিয়ে দেখে। ভারতে বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি বক্তব্যের কারণে রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদ- হয়েছে। সংসদ সদস্য পদ চলে গেছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন সদস্য। বিজেপির এমপি ছিলেন। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়, সে জন্য কি আমরা আদালতে গিয়েছি? এখান থেকেই বোঝা যায়, তাদের বাকস্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্র কতটুকু আছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন বলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি জানেন, খালেদা জিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন? তখনকার সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নিপুন’-এ তার বাবা একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছিলেন। ২০-২৫ বছর আগের দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আমার মেয়ে খুব সাজগোজ করতো। তার চিত্রনায়িকা হওয়ারও ইচ্ছে ছিল। চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে, তখন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে। আমাদের ছবি, আমাদের চলচ্চিত্র উপকৃত হবে। পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের দুর্দশা থেকে উঠে আসার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ত্রিশ-পয়ত্রিশটিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি শুরু করে দেয়। এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২০০ হয়েছে। তাদের চলচ্চিত্রের মানও অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের দেশেও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে। সামাজিক ছবি প্রচুর হচ্ছে। ছবি থেকে অশ্লীলতা বিদায় নিয়েছে। সামাজিক ও অ্যাকশনধর্মী ছবি হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারি না হলে এরমধ্যে আরও অনেক সিনেমা হল চালু হয়ে যেত। দেশে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও বাড়ছে। এসময় মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি জাদুঘর হতে পারে। এফডিসিতে নতুন ভবন হওয়ার পর সেটা করা হবে। মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, সদস্য এসডি রুবেল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সেক্রেটারি চিত্রনায়িক নিপুণ, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস প্রমুখ।