ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

শরীয়তপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীয়তপুরে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের সবাইকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)। আসামিরা ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ডামুড্যা উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁ এলাকার আবদুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবায় তার হাত ভাঙা মরদেহ পায় পুলিশ। পরদিন ওই নারীর ছোট ভাই বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুই/তিনজনকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ এ পাঁচ আসামির নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। বাকি আসামিদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। ওই তিনজন আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম, আল-আমীন পলাতক। আর ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন। মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক। নিহত নারীর ছেলে একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, আমরা রায়ে খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত যেন এ রায়ে কার্যকর হয়। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময়ঃ ১০:০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীয়তপুরে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের সবাইকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)। আসামিরা ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ডামুড্যা উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁ এলাকার আবদুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবায় তার হাত ভাঙা মরদেহ পায় পুলিশ। পরদিন ওই নারীর ছোট ভাই বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুই/তিনজনকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ এ পাঁচ আসামির নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। বাকি আসামিদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। ওই তিনজন আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম, আল-আমীন পলাতক। আর ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন। মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক। নিহত নারীর ছেলে একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, আমরা রায়ে খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত যেন এ রায়ে কার্যকর হয়। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।