ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ জমা দিলেন আবিদুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। নির্বাচনে কারচুপির কারণে তিনি গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এস এম হলের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নেগেটিভিটি ঘটেছে। দুপুরের পর থেকে আমরা কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি। আমি নিজে অমর একুশে হলের কেন্দ্রে গিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। রোকেয়া হলেরও একই অবস্থা।’

তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্যানেল শিট বিতরণের সময়ও তারা বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। রোকেয়া হলের পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থীকে শুধুমাত্র প্যানেলের কোড নম্বর বিতরণ করার কারণে একজন শিক্ষক ছাত্রত্ব শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ওই শিক্ষক নিজেই শিবিরের লিফলেট বিলি করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আবিদুল ইসলাম খান জোর দিয়ে বলেন, কারচুপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

ডাকসু নির্বাচন প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে আসা এক সাংবাদিকের মৃত্যুতে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন।

এর আগে গণমাধ্যম কর্মীদের আবিদ বলেন, আমরা দেখেছি, শিবিরের কারচুপির প্রমাণ ইতিমধ্যে প্রশাসন পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের বাক স্বাধীনতা যারা বিশ্বাস করে না, তাদের ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় কখনোই মেনে নেবে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ জমা দিলেন আবিদুল

আপডেট সময়ঃ ০৬:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। নির্বাচনে কারচুপির কারণে তিনি গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এস এম হলের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নেগেটিভিটি ঘটেছে। দুপুরের পর থেকে আমরা কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি। আমি নিজে অমর একুশে হলের কেন্দ্রে গিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। রোকেয়া হলেরও একই অবস্থা।’

তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্যানেল শিট বিতরণের সময়ও তারা বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। রোকেয়া হলের পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থীকে শুধুমাত্র প্যানেলের কোড নম্বর বিতরণ করার কারণে একজন শিক্ষক ছাত্রত্ব শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ওই শিক্ষক নিজেই শিবিরের লিফলেট বিলি করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আবিদুল ইসলাম খান জোর দিয়ে বলেন, কারচুপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

ডাকসু নির্বাচন প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে আসা এক সাংবাদিকের মৃত্যুতে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন।

এর আগে গণমাধ্যম কর্মীদের আবিদ বলেন, আমরা দেখেছি, শিবিরের কারচুপির প্রমাণ ইতিমধ্যে প্রশাসন পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের বাক স্বাধীনতা যারা বিশ্বাস করে না, তাদের ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় কখনোই মেনে নেবে না।