ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:০৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারও কোন তথ্য নিশ্চিত করেনি। ফলে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন সে বিষয়ে সরকার নিশ্চিত নয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আসছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন। সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার (শেখ হাসিনা) অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতেও খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি। কনফার্মেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেননি। তবে আপনারা যেমনটি দেখেছেন আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু সেটা রি-কনফার্মের চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি। এটা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে শেখ হাসিনাকে ভারত অন্য দেশে পাঠালো কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রকেই জিজ্ঞাসা করেন। আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীকে ভারতে ঘুরতে দেখা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের ফেরত আনার কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা সেখানে ঘুরছেন, সেটি আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন, আমিও ততটুকুই দেখেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না। যেহেতু মামলা হচ্ছে বা হয়েছে, কোর্ট থেকে যদি বলে তাদের হাজির করতে হবে, অবশ্যই আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ নোট দেওয়া হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যগুলো আপাতদৃষ্টিতে শোভন নয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমার মনে হয় এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদে যে বক্তব্য দিয়েছি, সেটাই আপাতত যথেষ্ট। দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। তাদের তো সামনে নির্বাচন আছে। সেগুলো নিয়েই তারা এগুলো কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করব এগুলো যত কম বলা হয় বা না বলা হয়। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনীতিকসহ কারা দেশ ছেড়েছে, এমন কোনো তালিকা আছে কি না-জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে এমন কোনো তালিকা নেই। আমরা যেটুকু পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। তবে যদি মনে হয় এ ধরনের তালিকা প্রয়োজন তাহলে আমরা চাইতে পারি। এদিকে, লেবানন থেকে ফিরতে আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ওয়ার জোন থেকে আর একটু উত্তরে সরে যান। আমরা আইওএমকে বলেছি, একটা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে। তারা সেটা করবে। তবে সমস্যা হলো বৈরুত এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাই করা রিস্কি। সে কারণে বিকল্প পথে ফ্লাই করা যায় কি না, সে চেষ্টাও করছি। উল্লেখ্য, লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আতঙ্কে রয়েছে। কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময়ঃ ১০:০৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারও কোন তথ্য নিশ্চিত করেনি। ফলে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন সে বিষয়ে সরকার নিশ্চিত নয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আসছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন। সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার (শেখ হাসিনা) অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতেও খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি। কনফার্মেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেননি। তবে আপনারা যেমনটি দেখেছেন আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু সেটা রি-কনফার্মের চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি। এটা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে শেখ হাসিনাকে ভারত অন্য দেশে পাঠালো কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রকেই জিজ্ঞাসা করেন। আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীকে ভারতে ঘুরতে দেখা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের ফেরত আনার কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা সেখানে ঘুরছেন, সেটি আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন, আমিও ততটুকুই দেখেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না। যেহেতু মামলা হচ্ছে বা হয়েছে, কোর্ট থেকে যদি বলে তাদের হাজির করতে হবে, অবশ্যই আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ নোট দেওয়া হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যগুলো আপাতদৃষ্টিতে শোভন নয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমার মনে হয় এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদে যে বক্তব্য দিয়েছি, সেটাই আপাতত যথেষ্ট। দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। তাদের তো সামনে নির্বাচন আছে। সেগুলো নিয়েই তারা এগুলো কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করব এগুলো যত কম বলা হয় বা না বলা হয়। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনীতিকসহ কারা দেশ ছেড়েছে, এমন কোনো তালিকা আছে কি না-জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে এমন কোনো তালিকা নেই। আমরা যেটুকু পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। তবে যদি মনে হয় এ ধরনের তালিকা প্রয়োজন তাহলে আমরা চাইতে পারি। এদিকে, লেবানন থেকে ফিরতে আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ওয়ার জোন থেকে আর একটু উত্তরে সরে যান। আমরা আইওএমকে বলেছি, একটা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে। তারা সেটা করবে। তবে সমস্যা হলো বৈরুত এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাই করা রিস্কি। সে কারণে বিকল্প পথে ফ্লাই করা যায় কি না, সে চেষ্টাও করছি। উল্লেখ্য, লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আতঙ্কে রয়েছে। কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।