ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

শেখ হাসিনা-কাদের-শামীমসহ ৬২ জনের নামে না.গঞ্জে আরেক মামলা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:১৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিলন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানসহ ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী মোসাম্মাৎ শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত মিলন মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। মামলার আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমীর ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। তখন শিমরাইল মোড় দিয়ে মাছের আড়তে যাচ্ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী মিলন মিয়া। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন একত্রিত হয়ে সমবেত ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে মিলন মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় কনক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সাইনবোর্ড এ অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জুলাই রাত সাড়ে বারোটার দিকে মারা যান মিলন। এর আগে, গত শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করা আবুল হাসান স্বজন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ ৪৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা-কাদের-শামীমসহ ৬২ জনের নামে না.গঞ্জে আরেক মামলা

আপডেট সময়ঃ ০৮:১৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিলন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানসহ ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী মোসাম্মাৎ শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত মিলন মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। মামলার আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমীর ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। তখন শিমরাইল মোড় দিয়ে মাছের আড়তে যাচ্ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী মিলন মিয়া। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন একত্রিত হয়ে সমবেত ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে মিলন মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় কনক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সাইনবোর্ড এ অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জুলাই রাত সাড়ে বারোটার দিকে মারা যান মিলন। এর আগে, গত শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করা আবুল হাসান স্বজন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ ৪৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়।