শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের নামে মামলা চলবে কি না জানা যাবে ৮ মে

- আপডেট সময়ঃ ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্টে খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ৮ মে দিন নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে মামলা চলবে কি না ওইদিন তা জানা যাবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ সোমবার লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদেশের এ দিন ঠিক করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ বিষয়ে খুরশিদ আলম খান বলেন, এ মামলার ওপর নির্ভর করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে কি না। তারা বলেছে মামলা অবৈধ, আইন অনুযায়ী এ মামলা চলতে পারে না। আমরা বলেছি এখানে লেবার আইনের তিনটি ভায়োলেশন হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মামলা দায়ের করার। সে অনুযায়ী তারা মামলা করেছে। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদনের বিষয়ে আদালত তিন পক্ষকে শুনেছেন। আগামী ৮ মে আদেশের দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন জানা যাবে এ মামলায় লিভ হবে কী হবে না বা হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে কী থাকবে না। শ্রম আদালতের করা মামলার কার্যক্রম সচলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সেই আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। গত বছরের ২৪ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এর আগে ওই মামলা বাতিল চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। ১৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। ফলে মামলার কার্যক্রম সচলের সুযোগ তৈরি হয়। তবে এরপর এই রায় স্থগিত চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেটি এখন শুনানি হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এর শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এরপর মামলা বাতিল প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।