সবজি স্থিতিশীল, কমেছে আলুর দাম, বেড়েছে মুরগি-মাছের

- আপডেট সময়ঃ ০৯:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৯৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে নতুন আলু কেজিতে ১০ টাকা কমলেও পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজারে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বাজারে সবজি আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে সিম ২০ থেকে ৪০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ৩০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা এবং শশা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা ১০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, কেপসি ক্যাপ ২০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। পুরাতন আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০০ টাকা, মুড়ি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে আদা ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা এবং নাজির সের ৭৬ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চলতি সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম চড়া রয়েছে। সোনালি কক ও লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে মাছের বাজারেও অস্থিরতা দেখা গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। তবে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩৬০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা করে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার চড়া রয়েছে। সব ধরনের মাছ কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোড়াল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।