সরকার দুদককে এড়িয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে, প্রশ্ন কাদেরের

- আপডেট সময়ঃ ০৫:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
- / ১২৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন সরকার কোনো ছাড় দেবে না। আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কাদের বলেন, “বেনজীর আহমেদ বিদেশে থাকলেও বিচার চলবে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে। “বেনজীর আহমেদের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। তদন্ত, মামলা, গ্রেপ্তার সবকিছু একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সরকার এখানে দুদককে এড়িয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে? সরকারের দুর্নীতিবিরোধী যেসব সংস্থা আছে, তাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে তারও বিচার হবে।” সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। তার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ ক্রোক করারও আদেশ দিয়েছে আদালত। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন বেনজীর আহমেদ ব্যক্তিগত অপরাধ করে থাকলে তার দায় পুলিশ বা কারো নয়, তদন্ত চলছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বেনজীর দেশে আছেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অস্পষ্টতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য তার কাছে নেই। এখনো কেন বেনজীরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি সে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতারা বলেছেন, সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ ‘লোক দেখানো ঘটনা’। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে কাদের বলেন, “ এদেশে ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎসাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার সেটা দেখিয়েছে। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে। দুর্নীতি করার পর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী সেটা দেখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।” ‘সরকারের সহায়তায় বেনজীর বিদেশে পালিয়েছে’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “সরকারের কারা গিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিয়েছে? কোন অথরিটি গিয়ে তাকে তুলে দিয়েছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না। বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশ থেকে টাকা পাচারের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি শুরু হয়েছে বিএনপির আমল থেকে। ক্ষমতায় এলে বিএনপি নেতারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের মহোৎসবে মেতে ওঠে। এটা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিএনপির দ-িত পলাতক নেতা তারেক রহমান বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।” সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না এই দাবি কেউ করতে পারে না। শেখ হাসিনা আপাদমস্তক সৎ রাজনীতিক, এটা বিশ্বের স্বীকৃত। তার জনপ্রিয়তার মূলে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম ও সৎ জীবনযাপন করেন। বিএনপির প্রধান নেতাই দ-িত, পলাতক তারেক রহমান চিহ্নিত অপরাধী। এমন লোক যে দলের নেতৃত্ব দেয়, সেই দল জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাসও রাখতে পারে না। তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেই বিএনপি’র গঠনতন্ত্র থেকে হঠাৎ করেই ৭ ধারা বাদ দিয়েছে।” আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।