সাবেক রাজউক চেয়ারম্যান হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাল

- আপডেট সময়ঃ ০৮:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। শুনানির জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন আসামি অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম অভিযোগ গঠন পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। তা মঞ্জুর করে নতুন এদিন ধার্য করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে, রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আট জনকে আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার। মামলার অপর আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক পরিচালক আবদুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয়। সেগুলোর হোল্ডিং নম্বর ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তী সময়ে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সেলিনা আখতার।