ঢাকা, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

সার সঙ্কটে আমন ফলন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সার সঙ্কটে আমন ফলন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রয়োজন মতো মিলছে না বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) উৎপাদিত টিএসপি সার। তাছাড়া দেখা দিয়েছে ডিএপি ও এমওপি সারেরও সংকট। ডিলারদের কাছে কৃষকরা বিঘাপ্রতি ১০ কেজির বেশি সার পাচ্ছে না। কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, সার সংকট নিরসন না হলে কমে যেতে পারে আমন উৎপাদন। তাতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও খাদ্যনিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদিও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই কৃষক, ডিলার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় সারের সংকট রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী-ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। কারণ বেশি দাম দিলে সার পাওয়া যাচ্ছে। কৃত্রিম সংকটের কারণে সারের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা। কোথাও কোথাও বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সার। তবে ডিলারদের দাবি, তারা যে পরিমাণ সার বরাদ্দ পান তা স্থানীয় কৃষকদের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আমনের সময় চাহিদা বেশি হওয়ায় আরো বেড়েছে সংকট। সূত্র জানায়, সারা দেশে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সারের ডিলারশিপের অনুমতি দেয়। দেশে দুই সংস্থার মোট ৭ হাজারেরও বেশি অনুমোদিত ডিলার আছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিএডিসি নন-ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার সরবরাহ করে। বেসরকারি আমদানিকারকের মাধ্যমেও নন-ইউরিয়া সার আসে। আর স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে ইউরিয়ার জোগান দেয় বিসিআইসি। সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ইউরিয়া ও টিএসপি সার কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৭ টাকা, এমওপি ২০ ও ডিএপি সার প্রতি কেজি ২১ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। আর জমির উর্বরতা, মাটির ধরন ও ফসলের জাতের ওপর নির্ভর করে প্রতি একর জমিতে ইউরিয়া প্রায় ১৩০-১৪০ কেজি, টিএসপি ৫০-৬০ ও এমওপি ৪০-৫০ কেজি প্রয়োজন হয়। সূত্র আরো জানায়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সরকার সাধারণত সার আমদানি করে। পাশাপাশি ঠিকাদারের মাধ্যমেও সার আমদানি করা হয়। আমন মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে সাধারণত সরকার জুনে সার আমদানি করে। তবে এবার ওই আমদানির উদ্যোগ জুলাইয়ের শেষদিকে নেয়া হয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে রাশিয়া, কানাডা ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া একই কমিটির বৈঠকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টন সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন হয়। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, দেশে আমন ধান আবাদের মৌসুম চলছে। কৃষক ধান গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত। তবে পর্যাপ্ত সার পাওয়া যাচ্ছে না। বীজতলা থেকে জমিতে রোপণের ৯-১০ দিনের মাথায় নন-ইউরিয়া সার দিতে হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামে সার মিলছে না। বরং অধিকাংশ ডিলার অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছে। ডিলারের কাছে কার্ড দেখালে বিঘাপ্রতি মাত্র ১০ কেজি সার দিচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বাধ্য হয়ে বেশি দামে কৃষককে বাজার থেকে সার কিনতে হচ্ছে। দোকানে গেলে বলে সার নেই। কিন্তু অতিরিক্ত দামে দিলে সার এনে দিচ্ছে। ডিএপি, ইউরিয়া, ফসফরাস ও ফসফেট সার বস্তাপ্রতি ৫০-১০০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। তবে সার ডিলারদের দাবি, অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সারের মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে। কৃষকও সঠিক দামে সার পাচ্ছে। ডিলাররা কোনো সংকট তৈরি করেনি। তবে একজন ডিলার যে পরিমাণ বরাদ্দ পায় তার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি চাহিদা রয়েছে। সরকার বৈজ্ঞানিক হিসাবে বরাদ্দ দেয়। কিন্তু কৃষকরা ওসব মেনে সার দেন না। তারা সরকারি হিসাবের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি সার প্রয়োগ করে। আর তাতেই ইউরিয়া বাদে অন্য সারের কিছুটা সংকট আছে। অন্যদিকে সার সংকটের বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, ধান চাষের জন্য মূল উপাদান সার। আমন মৌসুমের আবহাওয়া সব সময়ই অনিশ্চিত থাকে। কখনো অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়, আবার অনাবৃষ্টিতেও ক্ষতি হয়। সেজন্য কখনো কখনো সেচের প্রয়োজন পড়ে। এর পরও দেশে উৎপাদিত ধানের ৪০-৪৫ শতাংশ আমন থেকে আসে। সেজন্য আমনের মৌসুমে সার সংকট মোটেও ভালো সংবাদ নয়। সারের সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়লে ধান উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়বে। বন্যার কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমন উৎপাদন কম হয়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির ৫১ শতাংশই হচ্ছে চালের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সারের অপ্রতুলতা দেখা দেয় তাহলে আমন উৎপাদন কমে যাবে। তাহলে হুমকিতে পড়বে খাদ্যনিরাপত্তা। আবার আমদানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে ডলার বা রিজার্ভের ওপর চাপ পড়বে। অর্থাৎ সার সংকট দীর্ঘ হলে এর প্রভাব শুধু খাদ্যে নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেই পড়বে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরজমিন উইং) মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, দেশের কোথাও সার সংকট নেই। বরং এ মুহূর্তে আমনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, তার তুলনায় বেশি সার মজুদ রয়েছে। প্রতিবার যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয় এবারও সেভাবেই দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সরকার নতুন করে সার আমদানির উদ্যোগও নিয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে খুচরা পর্যায়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসন সেসব জায়গায় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কৃষকদের যেন কেউ ঠকাতে না পারে প্রশাসনের প্রতি সে নির্দেশনা আছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সার সঙ্কটে আমন ফলন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সার সঙ্কটে আমন ফলন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রয়োজন মতো মিলছে না বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) উৎপাদিত টিএসপি সার। তাছাড়া দেখা দিয়েছে ডিএপি ও এমওপি সারেরও সংকট। ডিলারদের কাছে কৃষকরা বিঘাপ্রতি ১০ কেজির বেশি সার পাচ্ছে না। কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, সার সংকট নিরসন না হলে কমে যেতে পারে আমন উৎপাদন। তাতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও খাদ্যনিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদিও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই কৃষক, ডিলার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় সারের সংকট রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী-ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। কারণ বেশি দাম দিলে সার পাওয়া যাচ্ছে। কৃত্রিম সংকটের কারণে সারের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা। কোথাও কোথাও বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সার। তবে ডিলারদের দাবি, তারা যে পরিমাণ সার বরাদ্দ পান তা স্থানীয় কৃষকদের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আমনের সময় চাহিদা বেশি হওয়ায় আরো বেড়েছে সংকট। সূত্র জানায়, সারা দেশে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সারের ডিলারশিপের অনুমতি দেয়। দেশে দুই সংস্থার মোট ৭ হাজারেরও বেশি অনুমোদিত ডিলার আছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিএডিসি নন-ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার সরবরাহ করে। বেসরকারি আমদানিকারকের মাধ্যমেও নন-ইউরিয়া সার আসে। আর স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে ইউরিয়ার জোগান দেয় বিসিআইসি। সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ইউরিয়া ও টিএসপি সার কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৭ টাকা, এমওপি ২০ ও ডিএপি সার প্রতি কেজি ২১ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। আর জমির উর্বরতা, মাটির ধরন ও ফসলের জাতের ওপর নির্ভর করে প্রতি একর জমিতে ইউরিয়া প্রায় ১৩০-১৪০ কেজি, টিএসপি ৫০-৬০ ও এমওপি ৪০-৫০ কেজি প্রয়োজন হয়। সূত্র আরো জানায়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সরকার সাধারণত সার আমদানি করে। পাশাপাশি ঠিকাদারের মাধ্যমেও সার আমদানি করা হয়। আমন মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে সাধারণত সরকার জুনে সার আমদানি করে। তবে এবার ওই আমদানির উদ্যোগ জুলাইয়ের শেষদিকে নেয়া হয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে রাশিয়া, কানাডা ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া একই কমিটির বৈঠকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টন সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন হয়। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, দেশে আমন ধান আবাদের মৌসুম চলছে। কৃষক ধান গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত। তবে পর্যাপ্ত সার পাওয়া যাচ্ছে না। বীজতলা থেকে জমিতে রোপণের ৯-১০ দিনের মাথায় নন-ইউরিয়া সার দিতে হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামে সার মিলছে না। বরং অধিকাংশ ডিলার অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছে। ডিলারের কাছে কার্ড দেখালে বিঘাপ্রতি মাত্র ১০ কেজি সার দিচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বাধ্য হয়ে বেশি দামে কৃষককে বাজার থেকে সার কিনতে হচ্ছে। দোকানে গেলে বলে সার নেই। কিন্তু অতিরিক্ত দামে দিলে সার এনে দিচ্ছে। ডিএপি, ইউরিয়া, ফসফরাস ও ফসফেট সার বস্তাপ্রতি ৫০-১০০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। তবে সার ডিলারদের দাবি, অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সারের মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে। কৃষকও সঠিক দামে সার পাচ্ছে। ডিলাররা কোনো সংকট তৈরি করেনি। তবে একজন ডিলার যে পরিমাণ বরাদ্দ পায় তার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি চাহিদা রয়েছে। সরকার বৈজ্ঞানিক হিসাবে বরাদ্দ দেয়। কিন্তু কৃষকরা ওসব মেনে সার দেন না। তারা সরকারি হিসাবের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি সার প্রয়োগ করে। আর তাতেই ইউরিয়া বাদে অন্য সারের কিছুটা সংকট আছে। অন্যদিকে সার সংকটের বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, ধান চাষের জন্য মূল উপাদান সার। আমন মৌসুমের আবহাওয়া সব সময়ই অনিশ্চিত থাকে। কখনো অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়, আবার অনাবৃষ্টিতেও ক্ষতি হয়। সেজন্য কখনো কখনো সেচের প্রয়োজন পড়ে। এর পরও দেশে উৎপাদিত ধানের ৪০-৪৫ শতাংশ আমন থেকে আসে। সেজন্য আমনের মৌসুমে সার সংকট মোটেও ভালো সংবাদ নয়। সারের সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়লে ধান উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়বে। বন্যার কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমন উৎপাদন কম হয়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির ৫১ শতাংশই হচ্ছে চালের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সারের অপ্রতুলতা দেখা দেয় তাহলে আমন উৎপাদন কমে যাবে। তাহলে হুমকিতে পড়বে খাদ্যনিরাপত্তা। আবার আমদানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে ডলার বা রিজার্ভের ওপর চাপ পড়বে। অর্থাৎ সার সংকট দীর্ঘ হলে এর প্রভাব শুধু খাদ্যে নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেই পড়বে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরজমিন উইং) মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, দেশের কোথাও সার সংকট নেই। বরং এ মুহূর্তে আমনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, তার তুলনায় বেশি সার মজুদ রয়েছে। প্রতিবার যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয় এবারও সেভাবেই দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সরকার নতুন করে সার আমদানির উদ্যোগও নিয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে খুচরা পর্যায়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসন সেসব জায়গায় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কৃষকদের যেন কেউ ঠকাতে না পারে প্রশাসনের প্রতি সে নির্দেশনা আছে।