সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন

- আপডেট সময়ঃ ১০:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ১২৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় সংসদে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করেন। বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী সিলেট বিভাগে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সিলেটে কোনো স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান না থাকায়, সিলেটের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের লক্ষ্যে ডি.ও. পত্র পাঠান। তিনি বলেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সিন্ডিকেট সভায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপিত হয় বিধায় নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন প্রয়োজন। তাই ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ এর বিভিন্ন ধারায় উল্লিখিত ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি ‘সচিব’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে ‘সদস্য-সচিব’ বা ‘সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন’ প্রতিস্থাপন, ‘চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে যথাক্রমে ‘আচার্য, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য প্রতিস্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মনোনীত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক দ্বারা নিরীক্ষার কার্যক্রম সম্পাদনের সুযোগ রেখে প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ সংশোধনের লক্ষ্যে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল, ২০২৩’ উত্থাপন: জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করেন। বিলে বলা হয়েছে, অর্জিত চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা ব্যতীত অন্য কোনো কোর্সের নাম, ডিগ্রি, সনদ, উপাধি, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করিলে এটি হবে একটি অপরাধ, এবং সে কারণে তিনি অনধিক ১ বৎসর কারাদ- বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। বিলের বিধান লঙ্ঘন করে হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত নেই এমন কোনো ওষুধ চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখলে বা বললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ১ বৎসর কারাদ- বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। বিলে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন ব্যতীত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন বা শিক্ষাদান করলে অথবা হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত ওষুধ ব্যতীত অন্য কোনো ওষুধ মজুদ, প্রদর্শন বা বিক্রয় করেন তা হলে তিনি অনধিক ১ বৎসরের কারাদ- বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। বিলে আরও বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি বিহীন কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স পরিচালনা বা সনদ প্রদান করলে এবং এজন্য তিনি বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা স্বত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপক, অংশীদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট বা প্রতিনিধি বা অন্য যে কোনো নামেই অভিহিত হউক না কেন, অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদ- বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, ওই অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে অথবা ওই অপরাধ রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্য বলেন, বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদ প্রদান, নিবন্ধন, গবেষণা এবং চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, সামরিক আমলে জারীকৃত ‘দ্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাক্টিশনার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ রহিতক্রমে নতুনভাবে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে বাংলায় ওই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, উল্লিখিত আইনটি প্রণীত হলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে। বর্ণিতাবস্থায়, ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।