সেবা না পেয়ে আশাশুনির কাঁদাকাটি ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সেবা বঞ্চিতরা

- আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আশাশুনির কাঁদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সেবা না পেয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সেবা বঞ্চিতরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ উত্তজেনা দেখা দিয়েছে।
জানাযায়, ইউপি চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে ইউনিয়ন পরিষদের ১২জন ইউপি সদস্যের মধ্যে ১০জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
এদিকে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় সরকার পরিবর্তনের পর থেকে পরিষদে না আসার কারনে ইউনিয়নবাসি সকল সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সেবা প্রত্যাশীরা খুব্ধ হয়ে রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর সকালে পরিষদের কয়েকটি রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকার চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে
নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ টাকা নিজের পকেটে ঠুকিয়েছেন।
গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই চেয়ারম্যান ঠিকঠাক পরিষদে আসে না। সেবাপ্রত্যাশীরা পরিষদে সেবা নিতে গেলে তাকে পাওয়াও যায়না।
অপর দিকে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে ১০ জন ইউপি সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান পরিষদ থেকে তার নিজের লোক দিয়ে প্রয়োজনিও ফাইলপত্র গোপনে সরিয়ে ঠিকঠাক করার চেষ্টা করে।
বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়কে জানালেও তিনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের রুম সহ কয়েকটি রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এবিষয়ে ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন, সুবীর কুমার জানান,অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা ওয়ারিশ সনদ পত্র প্রদান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম, জালায়ের খাল খননে অনিয়ম, ১% এর বরাদ্ধকৃত অর্থের হিসাবে গরমিল, বিগত সময়ে বরাদ্ধকৃত টিআর এর অর্থের হিসাবে গরমিল, ১জন ব্যতিত কোন ইউপি সদস্যকে কাবিখা/কাবিটা বরাদ্ধ না দেওয়া, এডিপি থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থ খরচে অনিয়ম, ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের কোনো হিসাব না দেওয়া, ট্যাক্স এর টাকা আত্মসাৎ ও জালায়ের খালে নেটপাটা ব্যবহার করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমরা ১০ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বিষয়টি নিয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যদের ও স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি, একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তে অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রমান হলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর পরিষদের রুমে তালা দেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ভেটেরিনারী সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জানান, ইউএনওর চিঠি পেয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার বাছাড়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছি। আগামী ১০কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে।