হজযাত্রীদের জন্য যে ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি আরব

- আপডেট সময়ঃ ০২:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে
২০২৬ সালের হজ ও হজ সংক্রান্ত কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন নির্দেশনায় হজযাত্রী ও হজ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতা যাচাই আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে করোনাভাইরাস, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও ইয়েলো ফিভার—এই চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই টিকাগুলো গ্রহণ না করলে কোনো হাজি সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা অবশ্যই সৌদি অনুমোদিত প্রস্তুতকারকের হতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং হজের যাত্রার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে টিকা সম্পন্ন করতে হবে। মেনিনজাইটিসের টিকা পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে, তবে সৌদিতে প্রবেশের কমপক্ষে ১০ দিন আগে নিতে হবে।
পোলিও নজরদারিতে থাকা দেশগুলোর হাজিদের টিকা হজযাত্রার কমপক্ষে চার সপ্তাহ আগে নিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক টিকা সনদে তা উল্লেখ থাকতে হবে। ইয়েলো ফিভার টিকা সব দেশের ৯ মাস বয়সের ঊর্ধ্বে হাজিদের জন্য বাধ্যতামূলক।
সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। এতে প্রধান অঙ্গ বিকল রোগী, জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ক্যানসারের চলমান চিকিৎসাসহ অন্যান্য গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা অন্তর্ভুক্ত।
হজ শারীরিকভাবে পরিশ্রমসাপেক্ষ একটি ইবাদত। এই কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন না হলে সৌদি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। প্রয়োজনে হাজিকে কোয়ারেন্টিনে রাখা বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করা হতে পারে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বিগত কয়েক বছরের হজ আয়োজন এবং বৈশ্বিক মহামারির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। বৃহৎ জনসমাগমে সংক্রমণ ও চিকিৎসাজনিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করাই মূল উদ্দেশ্য। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, প্রত্যেক হাজি নিরাপদ, সুস্থ ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করবে—এটাই সরকারের প্রত্যাশা।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন