ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

হাইওয়ে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:২৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের মহাসড়ককে সচল ও নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এজন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে বলেও জানান তিনি। আজ রোববার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, আগে আমরা প্রতিনিয়তই সড়কে-মহাসড়কে চুরি-ডাকাতি, লুটপাটের খবর পেতাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা হাইওয়ে পুলিশকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করছি। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সব ধরনের উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা সঠিক কাজটি করতে পারেন। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপদ করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে চলেছি। সড়কে অনেক ত্রুটি ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ত্রুটির জায়গাগুলো নির্ধারণ করে কিছুটা পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা যদি প্রকৃত পরিসংখ্যানটা দেখতাম তাহলে ক্যানসার বা অন্যান্য যেসব রোগব্যাধি রয়েছে, তারচেয়ে সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল। এটি আমাদের শঙ্কার কারণ ছিল। সেটা এখন অনেকটা কমে আসছে। তিনি বলেন, রাস্তায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, প্রশস্ত করা হয়েছে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ সড়কপথে যাতায়াত করেন এবং ৮৩ ভাগ পণ্য সড়কপথে পরিবহন করা হয়। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সড়কে বেড়েছে ব্যস্ততা। এখন মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি হবে। যাতে দুর্ঘটনা বা চুরি-ডাকাতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। হাইওয়ে পুলিশের লোকবল বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই লোকবল বৃদ্ধি আমাদের প্রোগ্রামে রয়েছে, যা যা প্রয়োজন তার সবই করবো। আমরা মহাসড়ক সচল রাখবো এবং নিরাপদ রাখবো। গত ঈদে মহাসড়কে এক্সামপল সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোনো যানজট বা সমস্যা হয়নি। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় মানুষ নিরাপদে বাড়ি যেতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক আইনে ট্রাফিক রুল ভঙ্গ করলে গাড়ি চালকের ১০ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ শুধু গাড়ির চালক করে না, পথচারীও করে। এজন্য চালককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করলে পথচারীকেও করতে হবে। আইনে এমন কিছু অসঙ্গতি ছিল, যা পরে সংশোধন করা হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, মহাসড়ককে নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। প্রতি ঈদে সচল সচল রাখাতে মানুষ নিরাপদে ঈদে বাড়ি যেতে পারছে। তিনি বলেন, সড়কে প্রতি বছরই মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমেছে। এতে বোঝা যায় পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্মার্ট পুলিশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হাইওয়ে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৮:২৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের মহাসড়ককে সচল ও নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এজন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে বলেও জানান তিনি। আজ রোববার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, আগে আমরা প্রতিনিয়তই সড়কে-মহাসড়কে চুরি-ডাকাতি, লুটপাটের খবর পেতাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা হাইওয়ে পুলিশকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করছি। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সব ধরনের উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা সঠিক কাজটি করতে পারেন। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপদ করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে চলেছি। সড়কে অনেক ত্রুটি ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ত্রুটির জায়গাগুলো নির্ধারণ করে কিছুটা পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা যদি প্রকৃত পরিসংখ্যানটা দেখতাম তাহলে ক্যানসার বা অন্যান্য যেসব রোগব্যাধি রয়েছে, তারচেয়ে সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল। এটি আমাদের শঙ্কার কারণ ছিল। সেটা এখন অনেকটা কমে আসছে। তিনি বলেন, রাস্তায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, প্রশস্ত করা হয়েছে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ সড়কপথে যাতায়াত করেন এবং ৮৩ ভাগ পণ্য সড়কপথে পরিবহন করা হয়। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সড়কে বেড়েছে ব্যস্ততা। এখন মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি হবে। যাতে দুর্ঘটনা বা চুরি-ডাকাতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। হাইওয়ে পুলিশের লোকবল বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই লোকবল বৃদ্ধি আমাদের প্রোগ্রামে রয়েছে, যা যা প্রয়োজন তার সবই করবো। আমরা মহাসড়ক সচল রাখবো এবং নিরাপদ রাখবো। গত ঈদে মহাসড়কে এক্সামপল সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোনো যানজট বা সমস্যা হয়নি। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় মানুষ নিরাপদে বাড়ি যেতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক আইনে ট্রাফিক রুল ভঙ্গ করলে গাড়ি চালকের ১০ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ শুধু গাড়ির চালক করে না, পথচারীও করে। এজন্য চালককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করলে পথচারীকেও করতে হবে। আইনে এমন কিছু অসঙ্গতি ছিল, যা পরে সংশোধন করা হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, মহাসড়ককে নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। প্রতি ঈদে সচল সচল রাখাতে মানুষ নিরাপদে ঈদে বাড়ি যেতে পারছে। তিনি বলেন, সড়কে প্রতি বছরই মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমেছে। এতে বোঝা যায় পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্মার্ট পুলিশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন প্রমুখ।