২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন

- আপডেট সময়ঃ ০২:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের আগের রাতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–০১-এ দেওয়া জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালের প্যানেলের সামনে রাজসাক্ষী হিসেবে হাজির হয়ে মামুন বলেন, নির্বাচন শুরুর আগে ৫০ শতাংশ ব্যালট ভরে রাখতে শেখ হাসিনাকে সরাসরি পরামর্শ দিয়েছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী। এ ছাড়া পুলিশে গড়ে ওঠা ‘গোপালগঞ্জ সিন্ডিকেট’ নিয়েও তিনি বক্তব্য দেন।
জবানবন্দিতে তিনি আরও জানান, জুলাই আন্দোলন দমন করতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া এবং ব্লক রেইডের নির্দেশনা এসেছিল। এসব সিদ্ধান্ত আসে সরাসরি শেখ হাসিনার কাছ থেকে। সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব ও ডিবির হারুন ছিলেন মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতিউৎসাহী।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, র্যাব-১ এ ‘টিআইএফ’ নামে একটি গোপন বন্দিশালা ছিল। শুধু র্যাব-১ নয়, অন্যান্য ইউনিটেও একই ধরনের বন্দিশালা পরিচালিত হতো। সরকারের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে কিংবা ভিন্নমত প্রকাশ করে এমন মানুষদের এখানে এনে আটক রাখা হতো।
তিনি আরও জানান, এসব নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই আসত। কখনো কখনো তা দিতেন শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী। আর আয়নাঘরে আটক রাখা ও ক্রসফায়ারে হত্যার মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন র্যাবের এডিসি (অপারেশন) ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক।
এর আগে চলতি বছরের ২৪ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামুন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, নিজের ইচ্ছায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করতে চান।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এর আগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের সময় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, চিকিৎসকসহ মোট ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মাসের মধ্যেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছে তারা।