ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

২৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতে ওয়াসার সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে মামলা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে ২৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার সাবেক দুই রাজস্ব কর্মকর্তাসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা ওয়াসার সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক এবং পিপিআই প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের কো-চেয়ারম্যান মিঞা মো. মিজানুর রহমান, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক ও পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের সাবেক অফিস ব্যবস্থাপক মো. হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া ও ঢাকা ওয়াসার জোন-৬ এর কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং) মো. নাঈমুল হাসান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বমোট ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের অসুসন্ধানে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক পিপিআই প্রকল্পের বিল বাবদ সর্বমোট ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৯ টাকা টাকা জনতা ব্যাংক লিমিটেডের, কারওয়ানবাজার কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নং- ০১০০০০০৪০২০৬৫ এর মাধ্যমে বর্ণিত সমিতিকে দেয়। দুদকের অনুসন্ধান মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসার দেওয়া টাকার বিপরীতে, বর্ণিত সময়ের স্টেটমেন্ট, ওই সময়ের অডিট রিপোর্ট, সমিতির ক্রয়কৃত অন্যান্য সম্পদ রেজিস্টার, পিপিআই প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস, সমিতির সদস্যদের প্রদানকৃত ডিভিডেন্ট, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ, আসবাবপত্র ক্রয়, যানবাহন ক্রয়, স্থাপনা বাবদ ব্যয়ের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৯৫ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ের রেকর্ড পাওয়া যায়। এছাড়াও ওই সময়ে ব্যাংক হিসাবটিতে স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৪ টাকা। মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি, পিপিআই পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যাংক হিসাব পরিচালনাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ব্যয়ের হিসাব বা খাত উল্লেখ বা প্রমাণ অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। ফলে মোট ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে তাদের নামে দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মামরা রুজু করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

২৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতে ওয়াসার সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে মামলা

আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে ২৪৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার সাবেক দুই রাজস্ব কর্মকর্তাসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা ওয়াসার সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক এবং পিপিআই প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের কো-চেয়ারম্যান মিঞা মো. মিজানুর রহমান, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক ও পিপিআই পরিচালনা পর্ষদের সাবেক অফিস ব্যবস্থাপক মো. হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া ও ঢাকা ওয়াসার জোন-৬ এর কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং) মো. নাঈমুল হাসান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বমোট ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের অসুসন্ধানে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক পিপিআই প্রকল্পের বিল বাবদ সর্বমোট ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৯ টাকা টাকা জনতা ব্যাংক লিমিটেডের, কারওয়ানবাজার কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নং- ০১০০০০০৪০২০৬৫ এর মাধ্যমে বর্ণিত সমিতিকে দেয়। দুদকের অনুসন্ধান মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসার দেওয়া টাকার বিপরীতে, বর্ণিত সময়ের স্টেটমেন্ট, ওই সময়ের অডিট রিপোর্ট, সমিতির ক্রয়কৃত অন্যান্য সম্পদ রেজিস্টার, পিপিআই প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস, সমিতির সদস্যদের প্রদানকৃত ডিভিডেন্ট, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ, আসবাবপত্র ক্রয়, যানবাহন ক্রয়, স্থাপনা বাবদ ব্যয়ের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৯৫ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ের রেকর্ড পাওয়া যায়। এছাড়াও ওই সময়ে ব্যাংক হিসাবটিতে স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৪ টাকা। মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি, পিপিআই পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যাংক হিসাব পরিচালনাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ব্যয়ের হিসাব বা খাত উল্লেখ বা প্রমাণ অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। ফলে মোট ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে তাদের নামে দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মামরা রুজু করা হয়।