ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

২৮ অক্টোবর সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন: ডিএমপি কমিশনার

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১১:০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করে, তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়। অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটা শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ। এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি-না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই তবে আমরা ব্যবস্থা নেব। ২০১৩-১৪ সালে এরকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারা দেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছিল, পরাজিত হয়েছিল সন্ত্রাসীরা। আগামীতে এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টা জনগণ ও পুলিশ এক সঙ্গে প্রতিহত করবে। এদিকে ধারাবাহিকভাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, মেট্রোরেলের ভেতরে এবং স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে এমআরটি পুলিশ। সে দক্ষতার জন্য তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এমআরটি পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী ৪ নভেম্বর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সম্পূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করবে এমআরটি পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনের লক্ষে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে ২৩১টি পদ সৃজন করা হয়। মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং একটি যাত্রীবান্ধব নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নে ২৩১ জন সদস্য অপ্রতুল বিবেচনা করে আইজিপি পুলিশের নির্দেশে অতিরিক্ত জনবলসহ মোট ৫৩৭ জন পদায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী এমআরটি পুলিশকে বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এমআরটি পুলিশ প্রধান ডিআইজি জিহাদুল কবিরের নেতৃত্বে এ ইউনিটের সদস্যরা বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নিয়ে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র ডিভ সাইন ও জ্যাকেট, ট্যাকটিক্যাল বেল্ট, বডি ওর্ন ক্যামেরা, শর্ট আর্মসে সজ্জিত হয়ে হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী এবং মেট্রোরেলের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এমআরটি পুলিশ। মেট্রোরেলের মতো নতুন একটি কনসেন্টের নিরাপত্তায় উন্নত বিশ্বের পুলিশ কিভাবে দায়িত্ব পালন করছে সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষণের বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন, উত্তরা সেন্টার স্টেশন, উত্তরা সাউথ স্টেশনে ট্রায়াল বেসিসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত আগারগাঁও, শেওরাপাড়া, কাজীপাড়া স্টেশনসহ মোট ছয়টি স্টেশনের প্রতিটিতে একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে প্রতি পালায় ১১ জনের একটি টিম মোট তিন পালায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। ঢাকার পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ধারাবাহিকভাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পরীক্ষামূলক দায়িত্বপালন থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংশোধন, সংযোজন বিয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ মে মেট্রোরেলের (ম্যাস র?্যাপিড ট্রানজিট- এমআরটি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত মেট্রোরেল পুলিশ গঠনের অনুমোদন দেয় সরকার। পুলিশের একজন উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে ২৩১ জনবল নিয়ে চালু হয় এমআরটি পুলিশ। এমআরটি পুলিশ গঠনের সময় একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার (এসপি), একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আটজন পুলিশ পরিদর্শক, ছয়জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৪১ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), পাঁচজন নায়েক, ১৬৩ জন কনস্টেবল, দুইজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, একজন উচ্চমান সহকারী, একজন হিসাবরক্ষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেট্রোরেল পুলিশ ১০টি মোটরসাইকেল, চারটি পিকআপভ্যান ও একটি জিপ বরাদ্দ পায়। উত্তরার দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে এমআরটি পুলিশের কার্যালয় ঠিক করা হয়েছে। তবে এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম এখনও পুলিশ সদর দপ্তরে চলছে। বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশে আরও ২০০ জনবল যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে একজন উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশে জনবল এখন ৪৩১ জন। এই জনবল দিয়ে গতকাল শনিবার থেকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করবে তারা। আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্য এত দিন এমআরটির সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছিল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

২৮ অক্টোবর সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময়ঃ ১১:০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করে, তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়। অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটা শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ। এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি-না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই তবে আমরা ব্যবস্থা নেব। ২০১৩-১৪ সালে এরকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারা দেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছিল, পরাজিত হয়েছিল সন্ত্রাসীরা। আগামীতে এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টা জনগণ ও পুলিশ এক সঙ্গে প্রতিহত করবে। এদিকে ধারাবাহিকভাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, মেট্রোরেলের ভেতরে এবং স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে এমআরটি পুলিশ। সে দক্ষতার জন্য তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এমআরটি পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী ৪ নভেম্বর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সম্পূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করবে এমআরটি পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনের লক্ষে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে ২৩১টি পদ সৃজন করা হয়। মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং একটি যাত্রীবান্ধব নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নে ২৩১ জন সদস্য অপ্রতুল বিবেচনা করে আইজিপি পুলিশের নির্দেশে অতিরিক্ত জনবলসহ মোট ৫৩৭ জন পদায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী এমআরটি পুলিশকে বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এমআরটি পুলিশ প্রধান ডিআইজি জিহাদুল কবিরের নেতৃত্বে এ ইউনিটের সদস্যরা বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নিয়ে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র ডিভ সাইন ও জ্যাকেট, ট্যাকটিক্যাল বেল্ট, বডি ওর্ন ক্যামেরা, শর্ট আর্মসে সজ্জিত হয়ে হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী এবং মেট্রোরেলের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এমআরটি পুলিশ। মেট্রোরেলের মতো নতুন একটি কনসেন্টের নিরাপত্তায় উন্নত বিশ্বের পুলিশ কিভাবে দায়িত্ব পালন করছে সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষণের বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন, উত্তরা সেন্টার স্টেশন, উত্তরা সাউথ স্টেশনে ট্রায়াল বেসিসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত আগারগাঁও, শেওরাপাড়া, কাজীপাড়া স্টেশনসহ মোট ছয়টি স্টেশনের প্রতিটিতে একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে প্রতি পালায় ১১ জনের একটি টিম মোট তিন পালায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। ঢাকার পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ধারাবাহিকভাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পরীক্ষামূলক দায়িত্বপালন থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংশোধন, সংযোজন বিয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ মে মেট্রোরেলের (ম্যাস র?্যাপিড ট্রানজিট- এমআরটি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত মেট্রোরেল পুলিশ গঠনের অনুমোদন দেয় সরকার। পুলিশের একজন উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে ২৩১ জনবল নিয়ে চালু হয় এমআরটি পুলিশ। এমআরটি পুলিশ গঠনের সময় একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার (এসপি), একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আটজন পুলিশ পরিদর্শক, ছয়জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৪১ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), পাঁচজন নায়েক, ১৬৩ জন কনস্টেবল, দুইজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, একজন উচ্চমান সহকারী, একজন হিসাবরক্ষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেট্রোরেল পুলিশ ১০টি মোটরসাইকেল, চারটি পিকআপভ্যান ও একটি জিপ বরাদ্দ পায়। উত্তরার দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে এমআরটি পুলিশের কার্যালয় ঠিক করা হয়েছে। তবে এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম এখনও পুলিশ সদর দপ্তরে চলছে। বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশে আরও ২০০ জনবল যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে একজন উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশে জনবল এখন ৪৩১ জন। এই জনবল দিয়ে গতকাল শনিবার থেকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করবে তারা। আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্য এত দিন এমআরটির সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছিল।