০২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

২০ হাজার টাকা মুচলেকায় মির্জা আব্বাস দম্পতির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এ চার্জশিট আমলে নেন। এরপর মামলাটির বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। আদালত বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। মির্জা আব্বাস দম্পতির আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোহা. নুরুল হুদা আদালতে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে অবৈধ ওই সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করতে কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দ-বিধির ১০৯ ধারায় এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। চার্জশিটে বলা হয়, মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ও মাধ্যমে অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিন পার্বত্য জেলাকে কফি অঞ্চল বানাতে চাই: পার্বত্য উপদেষ্টা

২০ হাজার টাকা মুচলেকায় মির্জা আব্বাস দম্পতির জামিন

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এ চার্জশিট আমলে নেন। এরপর মামলাটির বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। আদালত বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। মির্জা আব্বাস দম্পতির আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোহা. নুরুল হুদা আদালতে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে অবৈধ ওই সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করতে কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দ-বিধির ১০৯ ধারায় এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। চার্জশিটে বলা হয়, মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ও মাধ্যমে অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত।