কম বয়সীদের চাপা আবেগের বহিঃপ্রকাশ আত্মহত্যার ঘটনা: শিক্ষামন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই কম বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। তারা অনেক কিছু বলতে পারে না। তাদের চাপা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে আত্মহননের মাধ্যমে। আমরা এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আজ রোববার সকালে চাঁদপুরের হাইমচরে মৎস্য বিভাগের মাছের পোনা অবমুক্তকরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেয়েরা অনেক সময় নানাভাবে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। সমস্যাটি যদি পরিবারের কাছে বলতে না পারে এবং তার শিক্ষকের কাছে বলতে না পারে, সেই চাপা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে আত্মহননের মাধ্যমে। এ ছাড়া ইন্টারনেটে যে গেম আছে, সেগুলোরও সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটি সময়, যখন অনেক ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। যেমন শারীরিক ও মানসিক। সব সময় সঠিক তথ্য তারা পায় না। মা-বাবাও ঠিকমতো তাদের বোঝান না। স্কুলে পাঠ্যপুস্তকে যা আছে তাও তাদের ঠিকমতো জানানো হয় না। দীপু মনি বলেন, আমরা যেন আমাদের সন্তাদের সঙ্গে প্রাণখুলে কথা বলি। তাদের সমস্যার অনুধাবনের চেষ্টা করি এবং সেটা সংবেদনশীলতা নিয়ে করি। আমরা যেন কোনও সমস্যা দেখলে প্রথমেই তাকে অভিযুক্ত না করি। এতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এ সময় হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসন পাটোয়ারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রোমান উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৫ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ৬৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নেতা যদি সৎ না হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেছেন। আজ একজন দিনমজুর নিজের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বই পাচ্ছে এবং দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন বলে উন্নয়ন করতে পেরেছি। সুযোগ না দিলে আমি উন্নয়ন করতে পারতাম না। ভোটটা অনেক দামি জিনিস। চেষ্টা করি, আপনাদের বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করছি। আপনারা সুযোগ দিলে আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকব। দীপু মনি বলেন, মেঘনার ভাঙনে হাইমচরের চেহারা ভালো ছিল না। বাঁধ দেওয়ার কারণে এখন উপজেলার চেহারা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার কারণে। হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন প্রধানিয়া, জেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী মাঝি, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাস্টার, আতিকুর রহমান পাটওয়ারীসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।