ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

জাকিরের মৃত্যু: ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানি শেষ

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:২৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল :
পুলিশের নির্যাতনে রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান রমনা মডেল থানার ওসি এবং ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত ওসি মো. আবুল হাসানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলা গ্রহণের বিষয়ে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান বিচারক। এর আগে ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত মিলনের চাচা অলি উল্লাহ। সেদিন মামলা গ্রহণের বিষয়ে আংশিক শুনানি হয়। এরপর বিচারক পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। সেদিন মামলার আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা শুনানির জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। সেদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের মামলার আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিনও বিচারক শুনানি না নিয়ে ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঘটনাকালীন দায়িত্বরত রমনা মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪/৫ পুলিশ সদস্য। ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫(২) ধারায় এ মামলার আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং সেখানেও নির্মম নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অন্যদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড দেন। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের তার জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের পর থেকেই তিনি প্রচ- অসুস্থতা বোধ করছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজন সহকারী চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করেন। অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠান। ঢামেকে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জাকিরের মৃত্যু: ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানি শেষ

আপডেট সময়ঃ ০৯:২৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল :
পুলিশের নির্যাতনে রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান রমনা মডেল থানার ওসি এবং ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত ওসি মো. আবুল হাসানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলা গ্রহণের বিষয়ে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান বিচারক। এর আগে ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত মিলনের চাচা অলি উল্লাহ। সেদিন মামলা গ্রহণের বিষয়ে আংশিক শুনানি হয়। এরপর বিচারক পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। সেদিন মামলার আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা শুনানির জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। সেদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের মামলার আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিনও বিচারক শুনানি না নিয়ে ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঘটনাকালীন দায়িত্বরত রমনা মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪/৫ পুলিশ সদস্য। ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫(২) ধারায় এ মামলার আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং সেখানেও নির্মম নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অন্যদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড দেন। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের তার জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের পর থেকেই তিনি প্রচ- অসুস্থতা বোধ করছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজন সহকারী চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করেন। অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠান। ঢামেকে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়।