ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ৭ টা ০৭ মিনিটে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয় বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া শীর্ষ নেতারা। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পরে সকাল সোয়া ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা ছেড়ে গেলে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ঢল নামে। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সংগঠনের নেতারা শহীদদের স্মৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি কলংকময় দিন। এ দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এ দিন নিহতদের প্রকৃত কোনো তালিকা তৈরী হয়নি কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তালিকা আছে, এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। আরও খুঁজে বের করা উচিত। কারন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি এলাকা সেদিন আক্রান্ত হয়েছিল। সেদিন এই ক্যাম্পাসে একটি জেনোসাইড সংঘটিত হয়েছিল। বিশ্ব সভ্যতা এবং সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির জন্যই এটি জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।
বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধা: মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০ টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানসহ অন্যান্য নেতারা। এ সময় বিএনপির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র দুইদিন আগে পাক হানাদার বাহিনীর ঘৃণ্য নীলনকশার বাস্তবায়ন করে এ দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আল-শামসরা। এদিন হত্যা করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ডাক্তার থেকে শুরু করে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য তালিকা করে হত্যা করা হয় দেশের সূর্য সন্তানদের। তাদের মধ্যে ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। এছাড়াও প্রকৌশলী, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিলিয়ে আরও ১৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এই দিনটি জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

আপডেট সময়ঃ ০৮:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ৭ টা ০৭ মিনিটে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয় বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া শীর্ষ নেতারা। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পরে সকাল সোয়া ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা ছেড়ে গেলে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ঢল নামে। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সংগঠনের নেতারা শহীদদের স্মৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি কলংকময় দিন। এ দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এ দিন নিহতদের প্রকৃত কোনো তালিকা তৈরী হয়নি কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তালিকা আছে, এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। আরও খুঁজে বের করা উচিত। কারন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি এলাকা সেদিন আক্রান্ত হয়েছিল। সেদিন এই ক্যাম্পাসে একটি জেনোসাইড সংঘটিত হয়েছিল। বিশ্ব সভ্যতা এবং সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির জন্যই এটি জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।
বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধা: মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০ টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানসহ অন্যান্য নেতারা। এ সময় বিএনপির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র দুইদিন আগে পাক হানাদার বাহিনীর ঘৃণ্য নীলনকশার বাস্তবায়ন করে এ দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আল-শামসরা। এদিন হত্যা করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ডাক্তার থেকে শুরু করে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য তালিকা করে হত্যা করা হয় দেশের সূর্য সন্তানদের। তাদের মধ্যে ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। এছাড়াও প্রকৌশলী, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিলিয়ে আরও ১৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এই দিনটি জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।