ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

গ্যাস বিপণন বিধিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে গড়িমসি চলছে

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাস বিপণন বিধিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে গড়িমসি চলছে। বিগত ২০১৯ সালে গ্যাস বিপণন বিধিমালার খসড়া প্রকাশ হয়। মতামত নিয়ে ওই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে সর্বোচ্চ ৩ মাসের বেশি সময় প্রয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। খসড়া গ্যাস বিপণন বিধিমালাটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্যাস বিপণন বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার বিষয়ে পেট্রোবাংলাসহ অন্যান্যরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। মূলত বিধিমালাতে নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার গত এক বছর আগেও জ¦ালানি বিপণন ব্যাপকভাবে বেসরকারি কোম্পানির হাতে ছাড়তে চায়নি, এখন যা চাওয়া হচ্ছে। ওসব কারণে পেট্রোবাংলাকে বিধিমালা কাঁটছাট করতে হচ্ছে। জ¦ালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার জ¦ালানি ব্যবহারে নতুন পদ্ধতি চালু করতে চাচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোক্তারা জ¦ালানি আমদানি করে বিপণন করতে পারবে বলে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়টিও রয়েছে। গ্যাস বিপণন বিধিতে ওসব কিছুর ছাপ থাকতে হবে। দেশে গ্যাস বিপণনে যে আগের বিধিমালা ছিল তাকে যুগোপযোগী করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে বিধিমালা চূড়ান্ত করতে এতোদিন দেরির বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র জানায়, নতুন বিধিমালাতে গ্যাস বিপণনের সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আবাসিক বা বাণিজ্যিক যে কোনো ধরনের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হলে ওই গ্রাহককে জরিমানা হিসেবে ১২ মাসের (এক বছর) সমপরিমাণ বিল দিতে হবে। নতুন বিধিমালায় অবৈধ গ্যাসের অপব্যবহার রোধ, সুষম বণ্টন নিশ্চিত, গ্যাসের লোড সমন্বয় এবং সর্বোপরি রাজস্ব আয় বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, মিটারযুক্ত গ্রাহক গ্যাস কারচুপি বা অননুমোদিত গ্যাস ব্যবহার করলে অস্থায়ীভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণসহ অপরাধ অনুযায়ী জরিমানা দিতে বাধ্য হবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১২ থেকে সর্বনিম্ন ৩ মাসের বাড়তি বিল জরিমানা দিতে হবে। তাছাড়া রেগুলেটর বা রেগুলেটরের চাপ অননুমোদিতভাবে বা অবৈধভাবে পুনঃস্থাপন বা পুননির্ধারণ করে নির্ধারিত চাপের বেশি চাপে গ্যাস ব্যবহার করলেও গ্রাহক উপর্যুক্ত নিয়মে জরিমানার আওতায় আসবে। তাছাড়া শিল্প গ্রাহক ঘণ্টাপ্রতি লোড ৪ হাজার ঘনফুটের নিচে গ্যাস কারচুপি বা গ্যাসের অপব্যবহার করলে অস্থায়ীভাবে লাইন বিচ্ছিন্নকরণসহ দুই থেকে ছয় মাসের অতিরিক্ত বিল জরিমানা দিতে হবে।
এদিকে নতুন বিধিতে আরো বলা হয়, গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো শর্ত ভঙ্গের কারণে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন হলে, তারপর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করলে পরিদর্শনের তারিখ থেকে শনাক্তকরণ তারিখ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ মাসের গ্যাস বিলের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্যাস বিপণন বিধিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে গড়িমসি চলছে

আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাস বিপণন বিধিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে গড়িমসি চলছে। বিগত ২০১৯ সালে গ্যাস বিপণন বিধিমালার খসড়া প্রকাশ হয়। মতামত নিয়ে ওই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে সর্বোচ্চ ৩ মাসের বেশি সময় প্রয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। খসড়া গ্যাস বিপণন বিধিমালাটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্যাস বিপণন বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার বিষয়ে পেট্রোবাংলাসহ অন্যান্যরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। মূলত বিধিমালাতে নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার গত এক বছর আগেও জ¦ালানি বিপণন ব্যাপকভাবে বেসরকারি কোম্পানির হাতে ছাড়তে চায়নি, এখন যা চাওয়া হচ্ছে। ওসব কারণে পেট্রোবাংলাকে বিধিমালা কাঁটছাট করতে হচ্ছে। জ¦ালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার জ¦ালানি ব্যবহারে নতুন পদ্ধতি চালু করতে চাচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোক্তারা জ¦ালানি আমদানি করে বিপণন করতে পারবে বলে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়টিও রয়েছে। গ্যাস বিপণন বিধিতে ওসব কিছুর ছাপ থাকতে হবে। দেশে গ্যাস বিপণনে যে আগের বিধিমালা ছিল তাকে যুগোপযোগী করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে বিধিমালা চূড়ান্ত করতে এতোদিন দেরির বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র জানায়, নতুন বিধিমালাতে গ্যাস বিপণনের সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আবাসিক বা বাণিজ্যিক যে কোনো ধরনের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হলে ওই গ্রাহককে জরিমানা হিসেবে ১২ মাসের (এক বছর) সমপরিমাণ বিল দিতে হবে। নতুন বিধিমালায় অবৈধ গ্যাসের অপব্যবহার রোধ, সুষম বণ্টন নিশ্চিত, গ্যাসের লোড সমন্বয় এবং সর্বোপরি রাজস্ব আয় বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, মিটারযুক্ত গ্রাহক গ্যাস কারচুপি বা অননুমোদিত গ্যাস ব্যবহার করলে অস্থায়ীভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণসহ অপরাধ অনুযায়ী জরিমানা দিতে বাধ্য হবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১২ থেকে সর্বনিম্ন ৩ মাসের বাড়তি বিল জরিমানা দিতে হবে। তাছাড়া রেগুলেটর বা রেগুলেটরের চাপ অননুমোদিতভাবে বা অবৈধভাবে পুনঃস্থাপন বা পুননির্ধারণ করে নির্ধারিত চাপের বেশি চাপে গ্যাস ব্যবহার করলেও গ্রাহক উপর্যুক্ত নিয়মে জরিমানার আওতায় আসবে। তাছাড়া শিল্প গ্রাহক ঘণ্টাপ্রতি লোড ৪ হাজার ঘনফুটের নিচে গ্যাস কারচুপি বা গ্যাসের অপব্যবহার করলে অস্থায়ীভাবে লাইন বিচ্ছিন্নকরণসহ দুই থেকে ছয় মাসের অতিরিক্ত বিল জরিমানা দিতে হবে।
এদিকে নতুন বিধিতে আরো বলা হয়, গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো শর্ত ভঙ্গের কারণে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন হলে, তারপর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করলে পরিদর্শনের তারিখ থেকে শনাক্তকরণ তারিখ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ মাসের গ্যাস বিলের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে।