ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ: ময়নাতদন্তে আটকে আছে মামলার প্রতিবেদন

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সবার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন মেলেনি। আহতদেরও পাওয়া যায়নি মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে গত সাত মাসেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও এমসি দেওয়া হয়নি আদালতে কিংবা তদন্তকারী সংস্থার কাছে। তদন্ত সংস্থা বলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও এমসি না পাওয়ায় মামলার তদন্ত শেষ করা যাচ্ছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মোস্তাক আহমেদবলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলাটি গত কয়েক মাস আগে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে আমি মামলাটি তদন্ত করছি। এর আগে মামলাটি তদন্ত করেছিল সীতাকু- থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অথচ এখানে ৫১টি লাশের অংশবিশেষ ছিল। আহতদের মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) পাওয়া যায়নি। এগুলো পাওয়া গেলে আদালতে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। তিনি আরও বলেন, ‘আমি তদন্ত পাওয়ার পর এবং এর আগের তদন্ত কর্মকর্তাসহ এমসি এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অন্তত ১২ থেকে ১৩ বার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি লেখা হয়েছে। এমনকি এসব প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চমেক হাসপাতাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও আলাপ করেছি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও এমসি পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান নুর মোহাম্মদবলেন, বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলাটির বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত নিহত সবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং আহতদের মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) পাওয়া যায়নি। এগুলোর জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এসব কাগজপত্র পাওয়ার জন্য আমরা একাধিকবার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছি। এগুলো পাওয়া গেলে দ্রুত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে পারবো। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আহতরা চমেক হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে চিকিসা নিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রারগন এসব মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকেন। বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের এমসি এবং নিহতদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমিও একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। তারা ‘দেবো’ ‘দিচ্ছি’ করতে করতে সাত মাস পার করেছে। এসব কাগজপত্রের জন্য জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও কয়েক বার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, অকারণে কোনো এমসি কিংবা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আটকে রাখা হয় না। হয়তো একটু সময় লাগতে পারে। প্রতিদিন শত শত মানুষ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। পর্যায়ক্রমে এসব প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টরা দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ০৪ জুন রাতে সীতাকু-ের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকা- ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়। দুই শতাধিক দগ্ধ ও আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৩ জনের চোখ আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হতে পারে বলেও জানানো হয়। একটি ঘটনায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষের চোখ আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জুন রাতে সীতাকু- থানার এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ডিপোর আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় মালিক পক্ষকে বাদ দিয়ে কর্মচারীদের আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছে-বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আক্তার খান, উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) নুরুল আক্তার খান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খালেদুর রহমান, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্বাস উল্লাহ, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (প্রশাসন) নাছির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ, ডিপোর শেড ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও সহকারী ডিপো ইনচার্জ নজরুল ইসলাম। তবে গত সাত মাসে এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ড্রামভর্তি কেমিক্যাল কনটেইনারে থাকার কথা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি মালিকপক্ষ। এ কারণে কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারের আগুন পানিতে নেভানো সম্ভব হয়নি। কেমিক্যালের কারণে এক কনটেইনার থেকে আরেক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৩৭/৩৩৮/৩০৫.ক/৪২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএম ডিপো সূত্র জানায়, বিস্ফোরণের পর গত নভেম্বরে বিএম কনটেইনার ডিপোর আমদানি-রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনা পুরোদমে শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ডিপো ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি ও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিপো সংস্কার করার পর গত ২২ আগস্ট শুধু খালি কনটেইনার সংরক্ষণের অনুমোদন দেয় কাস্টমস। গত ২৫ অক্টোবর ৯ শর্তে পোশাকপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়। শর্ত পরিপালন করায় গত ৭ নভেম্বর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বিএম ডিপো রাসায়নিক পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপ ও নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান মিলেমিশে বিএম কনটেইনার ডিপো চালু করে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ: ময়নাতদন্তে আটকে আছে মামলার প্রতিবেদন

আপডেট সময়ঃ ০৬:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সবার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন মেলেনি। আহতদেরও পাওয়া যায়নি মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে গত সাত মাসেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও এমসি দেওয়া হয়নি আদালতে কিংবা তদন্তকারী সংস্থার কাছে। তদন্ত সংস্থা বলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও এমসি না পাওয়ায় মামলার তদন্ত শেষ করা যাচ্ছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মোস্তাক আহমেদবলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলাটি গত কয়েক মাস আগে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে আমি মামলাটি তদন্ত করছি। এর আগে মামলাটি তদন্ত করেছিল সীতাকু- থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অথচ এখানে ৫১টি লাশের অংশবিশেষ ছিল। আহতদের মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) পাওয়া যায়নি। এগুলো পাওয়া গেলে আদালতে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। তিনি আরও বলেন, ‘আমি তদন্ত পাওয়ার পর এবং এর আগের তদন্ত কর্মকর্তাসহ এমসি এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অন্তত ১২ থেকে ১৩ বার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি লেখা হয়েছে। এমনকি এসব প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চমেক হাসপাতাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও আলাপ করেছি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও এমসি পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান নুর মোহাম্মদবলেন, বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলাটির বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত নিহত সবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং আহতদের মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) পাওয়া যায়নি। এগুলোর জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এসব কাগজপত্র পাওয়ার জন্য আমরা একাধিকবার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছি। এগুলো পাওয়া গেলে দ্রুত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে পারবো। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আহতরা চমেক হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে চিকিসা নিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রারগন এসব মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকেন। বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের এমসি এবং নিহতদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমিও একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। তারা ‘দেবো’ ‘দিচ্ছি’ করতে করতে সাত মাস পার করেছে। এসব কাগজপত্রের জন্য জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও কয়েক বার চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, অকারণে কোনো এমসি কিংবা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আটকে রাখা হয় না। হয়তো একটু সময় লাগতে পারে। প্রতিদিন শত শত মানুষ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। পর্যায়ক্রমে এসব প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টরা দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ০৪ জুন রাতে সীতাকু-ের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকা- ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়। দুই শতাধিক দগ্ধ ও আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৩ জনের চোখ আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হতে পারে বলেও জানানো হয়। একটি ঘটনায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষের চোখ আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জুন রাতে সীতাকু- থানার এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ডিপোর আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় মালিক পক্ষকে বাদ দিয়ে কর্মচারীদের আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছে-বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আক্তার খান, উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) নুরুল আক্তার খান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খালেদুর রহমান, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্বাস উল্লাহ, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (প্রশাসন) নাছির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ, ডিপোর শেড ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও সহকারী ডিপো ইনচার্জ নজরুল ইসলাম। তবে গত সাত মাসে এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ড্রামভর্তি কেমিক্যাল কনটেইনারে থাকার কথা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি মালিকপক্ষ। এ কারণে কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারের আগুন পানিতে নেভানো সম্ভব হয়নি। কেমিক্যালের কারণে এক কনটেইনার থেকে আরেক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৩৭/৩৩৮/৩০৫.ক/৪২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএম ডিপো সূত্র জানায়, বিস্ফোরণের পর গত নভেম্বরে বিএম কনটেইনার ডিপোর আমদানি-রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনা পুরোদমে শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ডিপো ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি ও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিপো সংস্কার করার পর গত ২২ আগস্ট শুধু খালি কনটেইনার সংরক্ষণের অনুমোদন দেয় কাস্টমস। গত ২৫ অক্টোবর ৯ শর্তে পোশাকপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়। শর্ত পরিপালন করায় গত ৭ নভেম্বর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বিএম ডিপো রাসায়নিক পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপ ও নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান মিলেমিশে বিএম কনটেইনার ডিপো চালু করে।