ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

কিডনি ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে হাসপাতালের সামনের মূল সড়কের ওপর বসে বিক্ষোভ করেন তারা। এর আগে সকাল থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন রোগীরা। বিক্ষোভের কারণে গত তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সেবা কার্যক্রম। এদিকে চমেক হাসপাতাল সড়কের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয়। পুলিশের হামলায় কয়েকজন বিক্ষোভকারী কিডনি রোগী আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমানবলেন, ‘ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে কিছু লোক সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে দেওয়া হয়।’ বিক্ষোভকারী রোগী ও স্বজনরা বলছেন, ‘চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডায়ালাইসিস ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের ফি বহালের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলবে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ অতর্কিতভাবে হমলা চালিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।’ রোগী ও স্বজনদের দাবি, কোনো কোনো রোগীকে সপ্তাহে আটবারও ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে দুই হাজার ৭শ ৯৫ টাকা করে সপ্তাহে দুই বার নেওয়া হতো। বাকি ছয়বার নেওয়া হতো ৫১০ টাকা করে। ১ জানুয়ারি থেকে আগের দুই হাজার ৭৯৫ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৯শ ৩৫ টাকা এবং ৫১০ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৫৩৫ টাকা। শুধু তাই নয়, আগে আটবার ডায়ালাইসিসের জন্য দুইবার নেওয়া ২ হাজার ৭৯৫ টাকার স্থলে এখন ২ হাজার ৯শ ৩৫ টাকা চারবার কিংবা আরও বেশি বার নেওয়া হচ্ছে। বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভকারী লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দাশ বলেন, ‘আমার স্ত্রী ডেইজি দাশের দেড় বছর আগে কিডনি রোগ ধরা পড়ে। গত ১৪ মাস ধরে চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। মাসে আটবার করে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ২ হাজার ৭৯৫ টাকায় দুই বার এবং বাকি ছয় বার ৫১০ টাকায় ডায়ালাইসিস করে আসছি। এভাবে গত এক বছর ধরে ডায়ালাইসিস করে আসছি। তবে বাইরে প্রতিবার ১৮শ থেকে ২৫শ টাকা করে নেয়।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কম খরচে উন্নতমানের ডায়ালাইসিস করতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রতিদিন ভিড় করেন শত শত কিডনি রোগী। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ডায়ালাইসিস সেবায় ‘সেন্ডোর’ নামে একটি সংস্থাও জড়িত। চট্টগ্রাম মেডিকেল ও সেন্ডোর যৌথভাবে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কিডনি ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ

আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে হাসপাতালের সামনের মূল সড়কের ওপর বসে বিক্ষোভ করেন তারা। এর আগে সকাল থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন রোগীরা। বিক্ষোভের কারণে গত তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সেবা কার্যক্রম। এদিকে চমেক হাসপাতাল সড়কের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয়। পুলিশের হামলায় কয়েকজন বিক্ষোভকারী কিডনি রোগী আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমানবলেন, ‘ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে কিছু লোক সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে দেওয়া হয়।’ বিক্ষোভকারী রোগী ও স্বজনরা বলছেন, ‘চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডায়ালাইসিস ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের ফি বহালের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলবে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ অতর্কিতভাবে হমলা চালিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।’ রোগী ও স্বজনদের দাবি, কোনো কোনো রোগীকে সপ্তাহে আটবারও ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে দুই হাজার ৭শ ৯৫ টাকা করে সপ্তাহে দুই বার নেওয়া হতো। বাকি ছয়বার নেওয়া হতো ৫১০ টাকা করে। ১ জানুয়ারি থেকে আগের দুই হাজার ৭৯৫ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৯শ ৩৫ টাকা এবং ৫১০ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৫৩৫ টাকা। শুধু তাই নয়, আগে আটবার ডায়ালাইসিসের জন্য দুইবার নেওয়া ২ হাজার ৭৯৫ টাকার স্থলে এখন ২ হাজার ৯শ ৩৫ টাকা চারবার কিংবা আরও বেশি বার নেওয়া হচ্ছে। বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভকারী লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দাশ বলেন, ‘আমার স্ত্রী ডেইজি দাশের দেড় বছর আগে কিডনি রোগ ধরা পড়ে। গত ১৪ মাস ধরে চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। মাসে আটবার করে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ২ হাজার ৭৯৫ টাকায় দুই বার এবং বাকি ছয় বার ৫১০ টাকায় ডায়ালাইসিস করে আসছি। এভাবে গত এক বছর ধরে ডায়ালাইসিস করে আসছি। তবে বাইরে প্রতিবার ১৮শ থেকে ২৫শ টাকা করে নেয়।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কম খরচে উন্নতমানের ডায়ালাইসিস করতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রতিদিন ভিড় করেন শত শত কিডনি রোগী। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ডায়ালাইসিস সেবায় ‘সেন্ডোর’ নামে একটি সংস্থাও জড়িত। চট্টগ্রাম মেডিকেল ও সেন্ডোর যৌথভাবে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম চালাচ্ছে।