৫৭ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি: শিক্ষামন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের কঠোর পরিশ্রমের প্রচেষ্টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফল হস্তান্তর শেষে বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের পর উচ্চশিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা, যে পথেই যান না কেন, যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পথে যাবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনারা অবদান রাখতে যেন দক্ষ, যোগ্য ও অবদানক্ষম নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন। তিনি বলেন, করোনার আগে এপ্রিল মাসে পরীক্ষা হলেও এবার মহামারি ও কিছু অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল। এবারের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ১২টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি, এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, আমরা এবার ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছে, এমনকি আজকের ফলাফলও তারা অনলাইনে জানতে পারবে। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তির আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা চাই একটাই ভর্তি পরীক্ষা হোক। তিনি এ আহ্বান জানান। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এবারও গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করবো-যে সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে, সেই সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হোক। আমরা চাই একটাই ভর্তি পরীক্ষা হোক। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, একই বিষয়ে বারবার পরীক্ষা হওয়া উচিত না। যেমন ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে নির্দিষ্ট নম্বরে পরীক্ষা হওয়া উচিত। আমরা চাই একটাই পরীক্ষা হোক। যতদিন না হয় ততদিন চলমান গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষাটা আরও কীভাবে ভালো করা যায়, তার জন্য কাজ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।