ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বান্দরবানে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ দুই শ্রমিক অপহরণ

মোঃ জুয়েল হোসাইন, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

 

বান্দরবানে রুমা উপজেলার নির্মাণাধীন সড়কের দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সহ দুই শ্রমিককে  অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহষ্পতিবার বিকেলে রুমার কেওক্রাডং সড়কে কাজ করার সময় তাদেরকে অপহরণ করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে  পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন৷

কুকি চিন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যরা তাদের  অপহরণ করেছে।ইতি মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে  তাদের পরিচালিত ভাটে কুকি নামক একটি একাউন্টে দাবী করা হয় তারাই অপহরণের সাথে জড়িত এবং তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত এ সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। অপহৃতরা হলেন- সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন (৫৪), ট্রাক চালক মো. মামুন (২৯) ও শ্রমিক আব্দুর রহমান (২৭) পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর চলমান নির্মাণাধীন রুমা উপজেলা -বগালেক-কেওক্রাডং সড়ক  নির্মাণে কাজ করছিল সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. আনোয়ার হোসেনসহ ২ শ্রমিক। কাজ চলাকালীন সময় বৃহষ্পতিবার বিকালে হঠাৎ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা এসে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

 

এ বিষয়ে রুমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, অপহরণ হওয়ার খবর শুনেছি। তবে অপহৃত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। উল্লেখ্য ১২ই মার্চ (রোববার)কেএনএর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল রোয়াংছড়ি উপজেলায় কাটা পাহাড় নামক স্থানে  সেনা সদস্যদের একটি টহল টিমের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

 

এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং দুই জন সেনা সদস্য আহত হয়। ঐ দিন রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম  পাইক্ষ্যং পাড়ায় সেনা জোনের পক্ষ হতে গ্রামবাসীদের ফ্রী  মেডিকেল ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার কথা ছিলো।

 

এদিকে সন্ত্রাসী তৎপরতায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার  রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের উপর বান্দরবান জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসব এলাকায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা চলমান থাকবে!

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বান্দরবানে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ দুই শ্রমিক অপহরণ

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

 

বান্দরবানে রুমা উপজেলার নির্মাণাধীন সড়কের দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সহ দুই শ্রমিককে  অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহষ্পতিবার বিকেলে রুমার কেওক্রাডং সড়কে কাজ করার সময় তাদেরকে অপহরণ করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে  পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন৷

কুকি চিন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যরা তাদের  অপহরণ করেছে।ইতি মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে  তাদের পরিচালিত ভাটে কুকি নামক একটি একাউন্টে দাবী করা হয় তারাই অপহরণের সাথে জড়িত এবং তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত এ সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। অপহৃতরা হলেন- সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন (৫৪), ট্রাক চালক মো. মামুন (২৯) ও শ্রমিক আব্দুর রহমান (২৭) পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর চলমান নির্মাণাধীন রুমা উপজেলা -বগালেক-কেওক্রাডং সড়ক  নির্মাণে কাজ করছিল সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. আনোয়ার হোসেনসহ ২ শ্রমিক। কাজ চলাকালীন সময় বৃহষ্পতিবার বিকালে হঠাৎ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা এসে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

 

এ বিষয়ে রুমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, অপহরণ হওয়ার খবর শুনেছি। তবে অপহৃত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। উল্লেখ্য ১২ই মার্চ (রোববার)কেএনএর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল রোয়াংছড়ি উপজেলায় কাটা পাহাড় নামক স্থানে  সেনা সদস্যদের একটি টহল টিমের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

 

এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং দুই জন সেনা সদস্য আহত হয়। ঐ দিন রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম  পাইক্ষ্যং পাড়ায় সেনা জোনের পক্ষ হতে গ্রামবাসীদের ফ্রী  মেডিকেল ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার কথা ছিলো।

 

এদিকে সন্ত্রাসী তৎপরতায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার  রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের উপর বান্দরবান জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসব এলাকায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা চলমান থাকবে!