দুই ভাই হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

- আপডেট সময়ঃ ১০:০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মেহেরপুরে দুই ভাইকে হত্যা মামলায় নয় জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দ-াদেশ দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামতের ছেলে হালিম (৩৫), আছের উদ্দীনের ছেলে আতিয়ার (৪০), নজির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০), মৃত দবীর উদ্দীনের ছেলে শরিফ (৪০) ও ফরিদ (৪৫), আবদুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দীন (৪৩), আফেল উদ্দীনের ছেলে আজিজুল (৩৬), মুনছারের ছেলে মনি (২৫), নজির উদ্দীনের ছেলে দবির উদ্দীন (৩২)। এদের মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় দেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ আসামিকে আদালত বেকুসর খালাস দিয়েছেন
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জুন কাজীপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে বিজিবি। বিজিবিকে ফেন্সিডিল ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রফিকুল ইসলাম ও আবু জেলের নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওইদিন রফিকুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন অভিযুক্তরা। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রফিকুলকে উদ্ধার করে। ১৫ জুন রাত ১০টার দিকে বিষয়টি মিমাংসার জনন্য দুই ভাইকে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এরপর থেকে ওই দুই জনের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরদিন ভোরে কাজীপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্তে দুই ভাইয়ের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই দুই ভাইয়ের বোন জরিনা বেগম গাংনী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তভার পড়ে তৎকালীন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের হাতে। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। এ মামলায় তিন জন আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকাক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই মামলায় নয় জনের মৃত্যুদ- দেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজী শহীদুল হক ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম শফিকুল আলম ও অ্যাডভোকেট আতাউল গনি আন্টু। এ মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। এ রায় নজির হয়ে থাকবে। কারণ মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দিও রয়েছে।’ অন্যদিকে আসামমি পক্ষের আইনজীবী এ.কে.এম শফিকুল আলম বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চতর আদালতে আপিল করবো।’