ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বান্দরবানে নববর্ষ বর্ণঢ্যা পথ যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত

মোঃ জুয়েল হোসাইন, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরটিকে বরণ করে নিয়েছে বান্দরবানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বান্দরবান টিসি আই কনভেনশন হলে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের আয়োজনে সংগীত ও আবৃত্তিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোরবেলায় আহির ভৈরব সুরে শুরু বর্ণঢ্যা পথ যাত্রা ও অনুষ্ঠান।

 

সবশেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে। এতে ছায়ানটের শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন অন্যান্য বান্দরবান নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক শিল্পীও। রবীন্দ্র-নজরুলের গানের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে লোকজ সুরও।

 

আজকের অনুষ্ঠানে শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকা গানগুলোর মধ্যে ছিল—‘মনমোহন গহন যামিনী’, ‘রাত্রি এসে যেথায় মেশে’, ‘মোরে ডাকি লয়ে যাও’, ‘অন্তরে তুমি আছো চিরদিন’, ‘সংকটের বিহ্বলতা’, ‘আমাদের নানান মতে’, ‘মন মজালে ওরে বাউলা গান’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘এমন মানব সমাজ কোনদিন গো সৃজন হবে’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ও নানান নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নাচ গান ইত্যাদি।

 

এবারের আয়োজনে ছায়ানটের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি,বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ও অনন্য প্রশাসন মহোদয়বৃন্দ!অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে তারা মঞ্চে উঠে সম্প্রীতির বার্তা ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তারা বলেন, ‘নববর্ষের সূর্যোদয়ের নবীন কিরণ যখন আমাদের আলোকিত করে, তখন ফিরে দেখি ফেলে আসা দিনগুলো। ধারাবাহিক অগ্রগতি দেশের ভবিষ্যতের পাদরেখা হিসেবে আমাদের প্রাণে আশার সঞ্চার করে।

 

অন্যদিকে লোভ, বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্য আমাদের হতাশ করে। সমাজের বিভাজন রেখাকে গভীর ও বিস্তীর্ণ করে আমাদের অর্জনগুলো ম্লান করে দেয়।’ নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতর ছিলো সার্বিক সেবায়। এছাড়া ছায়ানট কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিয়োজিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী, স্কাউট ভেলেইন টিয়ার সকল সদস্যবৃন্দ!

 

অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ntv, অনন্য চ্যানালে বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব ও সরাসরি প্রচার হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে সূচনা হয় ছায়ানটের। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিস্তার ঘটাতে কাজ করে আসছে। সংগঠনটির উদ্যোগে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। এরপর থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে পহেলা বৈশাখের আয়োজনটি থমকে ছিল।

 

সেই স্থবিরতা কাটিয়ে গেলো বছর থেকেই ফের সঞ্জীব হয়ে উঠেছে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এ উদযাপন।এছাড়া বান্দরবান বাঙ্গালী, পাহাড়ি তরুণ তরুণী সুমাইয়া আক্তার উর্মি বলেন শুভ নববর্ষ আজকের দিন বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ আজকের এই দিন আমার মনের খুব একটা খুশি দিন সকলে কাছে নববর্ষ শুভেচ্ছা জানাই

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বান্দরবানে নববর্ষ বর্ণঢ্যা পথ যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত

আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরটিকে বরণ করে নিয়েছে বান্দরবানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বান্দরবান টিসি আই কনভেনশন হলে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের আয়োজনে সংগীত ও আবৃত্তিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোরবেলায় আহির ভৈরব সুরে শুরু বর্ণঢ্যা পথ যাত্রা ও অনুষ্ঠান।

 

সবশেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে। এতে ছায়ানটের শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন অন্যান্য বান্দরবান নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক শিল্পীও। রবীন্দ্র-নজরুলের গানের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে লোকজ সুরও।

 

আজকের অনুষ্ঠানে শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকা গানগুলোর মধ্যে ছিল—‘মনমোহন গহন যামিনী’, ‘রাত্রি এসে যেথায় মেশে’, ‘মোরে ডাকি লয়ে যাও’, ‘অন্তরে তুমি আছো চিরদিন’, ‘সংকটের বিহ্বলতা’, ‘আমাদের নানান মতে’, ‘মন মজালে ওরে বাউলা গান’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘এমন মানব সমাজ কোনদিন গো সৃজন হবে’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ও নানান নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নাচ গান ইত্যাদি।

 

এবারের আয়োজনে ছায়ানটের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি,বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ও অনন্য প্রশাসন মহোদয়বৃন্দ!অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে তারা মঞ্চে উঠে সম্প্রীতির বার্তা ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তারা বলেন, ‘নববর্ষের সূর্যোদয়ের নবীন কিরণ যখন আমাদের আলোকিত করে, তখন ফিরে দেখি ফেলে আসা দিনগুলো। ধারাবাহিক অগ্রগতি দেশের ভবিষ্যতের পাদরেখা হিসেবে আমাদের প্রাণে আশার সঞ্চার করে।

 

অন্যদিকে লোভ, বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্য আমাদের হতাশ করে। সমাজের বিভাজন রেখাকে গভীর ও বিস্তীর্ণ করে আমাদের অর্জনগুলো ম্লান করে দেয়।’ নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতর ছিলো সার্বিক সেবায়। এছাড়া ছায়ানট কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিয়োজিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী, স্কাউট ভেলেইন টিয়ার সকল সদস্যবৃন্দ!

 

অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ntv, অনন্য চ্যানালে বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব ও সরাসরি প্রচার হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে সূচনা হয় ছায়ানটের। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিস্তার ঘটাতে কাজ করে আসছে। সংগঠনটির উদ্যোগে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। এরপর থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে পহেলা বৈশাখের আয়োজনটি থমকে ছিল।

 

সেই স্থবিরতা কাটিয়ে গেলো বছর থেকেই ফের সঞ্জীব হয়ে উঠেছে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এ উদযাপন।এছাড়া বান্দরবান বাঙ্গালী, পাহাড়ি তরুণ তরুণী সুমাইয়া আক্তার উর্মি বলেন শুভ নববর্ষ আজকের দিন বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ আজকের এই দিন আমার মনের খুব একটা খুশি দিন সকলে কাছে নববর্ষ শুভেচ্ছা জানাই