যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক রোধে আইন হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৯:৪০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৩১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রোধে আগামী সংসদ অধিবেশনেই আইন পাস হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এ আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের এ বিষয়ে এখন থেকেই সজাগ থাকতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে ভার্চুয়ালি দেশের আটটি মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব ও ই-লাইব্রেরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, আটটি মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব ও সব মেডিকেল কলেজে ই-লাইব্রেরির ফলে দেশের চিকিৎসা শিক্ষায় নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো। এর ফলে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্বমানের ডাক্তার হতে পারবে। তিনি বলেন, যেভাবে চিকিৎসায় স্মার্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। একদিন সময় আসবে একজন মানুষও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নানা কারণে চিকিৎসক ও নার্সদের পদোন্নতি বন্ধ ছিল। সব জটিলতা কেটেছে, শিগগির তাদের পদোন্নতি হবে। দেশের সব হাসপাতালে শূন্যপদ পূরণসহ নতুন করে দক্ষ জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের আটটি মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব এবং ৩৭টিতে ই-লাইব্রেরি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন ডিজিটাল ও স্মার্ট পদ্ধতিতে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে। উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পেতে শুরু করলো। এই উন্নত পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য মেডিকেল কলেজেও চালু হবে। এই ল্যাবে অ্যাডভান্সড ডিজিটাল ডিসেকসন টেবিলের ব্যবহার করে ডিজিটালি মরদেহ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রোগী ও রোগীর স্বজনরা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকদের সেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য আমরা বৈকালিক চিকিৎসাসেবার কথা চিন্তা করেছি। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু হয়েছে। রোগীরা সেবা পাচ্ছেন। এই কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আশা করি, এ বছরের সারাদেশে এই সেবা চালু হয়ে যাবে। এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবুল বাশার জামান, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজেম আলী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন