ঢাকা, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

পাহাড় ধসের শঙ্কায় বাসিন্দাদের পাদদেশ থেকে সরতে নির্দেশ

মোঃ জুয়েল হোসাইন, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৩২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • / ২০০ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সচেষ্ট বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ৭ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যারা পাহাড়ে বা পাহাড়গুলোর পাদদেশে বসবাস করেন, তাদের সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

 

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। পাহাড় ধসের আশংকায় পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে মাইকিংও করা হচ্ছে। মোখার প্রভাবে আজ রোববার সকাল থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই পাহাড় ধসের আশঙ্কা করে জেলা প্রশাসন।

 

ঘূর্ণিঝড় থেকে নিরাপদে অবস্থানের জন্য বান্দরবানের সাত উপজেলায় ২০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার বাসিন্দাদেরও নিরাপদ স্থানে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

 

বান্দরবান সদরে অস্থায়ী ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব জায়গায় ১৯ হাজার ৮০ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে। রুমা উপজেলায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে; তাতে ৫১৫জন। রোয়াংছড়ির ১৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৫০০; থানচি উপজেলার ছয় আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৪০; লামা উপজেলার ৫৩ আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৯০; আলীকদম উপজেলার ১৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩১৩০; নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৫৭ জন থাকতে পারবেন। ছাইফুল্লাহ আরও বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে সাত উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

বর্তমানে জেলায় ত্রাণ কার্য (চাল) খাতে ৪১৬ দশমিক ৩১ মেট্রিক টন চাল ও ত্রাণ কার্য (নগদ) খাতে ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ বলেছেন, পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছি। সেখানে ধারাবাহিকভাবে মাইকিংও করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পাহাড় ধসের শঙ্কায় বাসিন্দাদের পাদদেশ থেকে সরতে নির্দেশ

আপডেট সময়ঃ ০৮:৩২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সচেষ্ট বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ৭ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যারা পাহাড়ে বা পাহাড়গুলোর পাদদেশে বসবাস করেন, তাদের সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

 

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। পাহাড় ধসের আশংকায় পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে মাইকিংও করা হচ্ছে। মোখার প্রভাবে আজ রোববার সকাল থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই পাহাড় ধসের আশঙ্কা করে জেলা প্রশাসন।

 

ঘূর্ণিঝড় থেকে নিরাপদে অবস্থানের জন্য বান্দরবানের সাত উপজেলায় ২০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার বাসিন্দাদেরও নিরাপদ স্থানে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

 

বান্দরবান সদরে অস্থায়ী ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব জায়গায় ১৯ হাজার ৮০ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে। রুমা উপজেলায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে; তাতে ৫১৫জন। রোয়াংছড়ির ১৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৫০০; থানচি উপজেলার ছয় আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৪০; লামা উপজেলার ৫৩ আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৯০; আলীকদম উপজেলার ১৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩১৩০; নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৫৭ জন থাকতে পারবেন। ছাইফুল্লাহ আরও বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে সাত উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

বর্তমানে জেলায় ত্রাণ কার্য (চাল) খাতে ৪১৬ দশমিক ৩১ মেট্রিক টন চাল ও ত্রাণ কার্য (নগদ) খাতে ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ বলেছেন, পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছি। সেখানে ধারাবাহিকভাবে মাইকিংও করা হচ্ছে।