• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার ‘মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স’ আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করা হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী নৌকা-জাল মেরামতে ব্যস্ত, নদীতে নামার অপেক্ষায় জেলেরা বান্দরবানে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই: কাদের

বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ: নিহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের স্মরণ সহকর্মীদের

Reporter Name / ৪৮ Time View
Update : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ রোববার। বিস্ফোরণে নিহত হন ৫১ জন। এর মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন প্রাণ হারান। নিহতদের স্মরণে দোয়া-মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন কুমিরা ও সীতাকু- ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা। নিহতদের মধ্যে স্বজনরা ৪৩ জনের লাশ শনাক্ত করলেও বেওয়ারিশ হিসেবে ৮ জনের লাশ দাফন করেছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ১০ জনের লাশ শনাক্ত হলেও তিনজনের লাশ এখনও শনাক্ত হয়নি। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদবলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য মারা যান। আহত হয়েছেন অনেকেই। নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত হলেও তিন জনের পরিচয় মেলেনি।’ নিখোঁজ তিন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা হলেন- ফায়ার ফাইটার মো. রবিউল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান ও শফিউল ইসলাম। সীতাকু- ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম দুলালবলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিন জনের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। পরে ডিএনএ পরীক্ষায়ও তাদের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ওইদিন আমি সীতাকু- ফায়ার স্টেশনের কর্মরত থাকলেও ছুটিতে ছিলাম। নিহতদের স্মরণে আমরা দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেছি।’ এদিকে, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত না করেই তড়িঘড়ি করে এ ঘটনায় করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে গত ৩ মে চট্টগ্রাম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এটি নিছক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনার জন্য কারও অবহেলা কিংবা ত্রুটি পায়নি তদন্তকারী সংস্থা’। তবে এ দুর্ঘটনার পর গঠিত ছয়টি পৃথক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, দুর্ঘটনার জন্য মালিকপক্ষের অবহেলা ছিলো। ডিপো ব্যবস্থাপনায় ছিল ত্রুটি। ছিলো না প্রশিক্ষিত জনবল। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের দুই কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগে বেসরকারি এই কনটেইনার ডিপোটি গড়ে তোলা হয়। এর মালিকানায় আছেন বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান এবং তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান। এ ঘটনায় ৭ জুন রাতে সীতাকু- থানার এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ডিপো মালিকের নাম বাদ দিয়ে আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএম ডিপোতে ড্রামভর্তি কেমিক্যাল কনটেইনারে থাকার কথা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি মালিকপক্ষ। এ কারণে কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারের আগুন পানিতে নেভানো সম্ভব হয়নি। কেমিক্যালের কারণে এক কনটেইনার থেকে আরেক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হতাহতের ঘটনা ঘটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category