বিচার না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে নিষিদ্ধ বলতে পারি না: আইনমন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
- / ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিচার শুরুর জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। কিন্তু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা জামায়াতকে নিষিদ্ধ বলতে পারি না। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’ রিপোর্র্টস ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ১০ বছর পরে জামায়াতে ইসলামীর মাঠে নামা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমাবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। ওঁরা কী বিবেচনায় দিয়েছেন, আমার মনে হয় এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে ভালো হবে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াধীন, আবার তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন। এটা সাংঘর্ষিক কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত জামায়াতকে দোষী বলা যাবে না। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতকে দল হিসেবে বিচার করার জন্য আইন সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান। সংশোধনের জন্য যে আইন সেটি কিছুদিনের মধ্যে কেবিনেটে যাবে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতকে দল হিসেবে বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আছে। কিন্তু বিচার করার পরেই বলা যাবে তারা দোষী কি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করায় সংবিধান থেকে কেয়ারটেকার সরকার বাতিল হয়ে যায়। মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, মার্কিন ভিসানীতির কারণে অপমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ। সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করলে আপত্তি নাই। কিন্তু শুধু একটা দলের জন্য ব্যবহার করলে আপত্তি আছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুস্থ হলে খালেদা জিয়াকে বাকি সাজা খাটতে কারাগারে যেতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দ-প্রাপ্ত, তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নৈতিক স্খলনের জন্যে কেউ যদি দুই বছর বা তার বেশি দ-প্রাপ্ত হন, তবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার। এতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।