ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

যেকোনো চক্রান্ত ঠেকানোর সামর্থ্য সরকারের আছে: আইজিপি

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • / ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের সব মানুষ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো ধরনের চক্রান্ত রুখে দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশ সরকারের আছে। আজ শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে বাইপাইল ত্রিমোড়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, এদেশের সম্মান, স্বাধীনতা বিনষ্ট করার জন্য দেশীয় যে কুচক্রী মহল জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পাশপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একনিষ্ঠভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে সেই স্বড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা দেশের সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের সদস্যরা মাঠে থাকবে। আমরা আরেকটি কথা জানাতে চাই, ঈদে ঢাকা ছেড়ে যারা গ্রামের বাড়িতে যাবেন তারা মূল্যবান সম্পদসহ আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবেন। আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন ফ্ল্যাট-বাড়ি এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, যে কোন প্রয়োজনে আপনারা পুলিশের সহায়তা নিন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করে আমাদের জানান। এই পরিস্থিতিতে আমাদের মোটরসাইকেল টিম সবসময় সড়কে থাকবে। আমাদের সদস্যরা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য পুলিশের সিনিয়র সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার, আমরা তা করছি। আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রোজার ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল সেটা মাথায় রেখে এবারও সাজিয়েছি। তবে ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহায় চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। এবার একদিকে যেমন যাত্রী সাধারণ গন্তব্যে যাবেন, অন্যদিকে পশুবাহী ট্রাক যাতায়াত করবে। এছাড়াও যেহেতু এখন মৌসুমী ফলের সময়, তাই সেই গাড়িগুলোও আসবে। সবকিছু বিবেচনায় রেখেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আশা করছি এবারও যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে সক্ষম হবো। আইজিপি বলেন, আগে মহাসড়কে যেমন খানা-খন্দ বেশি ছিল, রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল, বর্তমানে সেটা অনেক ভালো। উন্নয়নের অনেক কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। তারপরও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাপথ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের হয় সেজন্য সবাই মিলে কাজ করছি। পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি লেভেলের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে যাত্রী সাধারণের গমন নির্বিঘœ করতে নিয়োজিত থাকবেন। আইজিপি বলেন, আমরা গরুবাহী পরিবহনের ও হাটের জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছি। গরুবাহী পরিবহন যে হাটে যাবে তারা যেন পরিবহনের সামনে ও পেছনে হাটের নামসহ ব্যানার সাটিয়ে দেয়। এতে সড়কে কেউ গরুবাহী পরিবহন নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে পারবে না। করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমাদের পুলিশের প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। আইজিপি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে একসময় মানুষ যে কটাক্ষ করতো, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপান্তর হয়েছে। গর্বের পদ্মা সেতু এখন আমাদের বাস্তবতা। পুলিশপ্রধান বলেন, আপনারা দেখেছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে ছিল, সেখান থেকে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা আছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে আইনশৃঙ্খলাকে সমুন্নত রেখেছি। নিরবচ্ছিন্নভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, গতবার আপনাদের সামনে এসে বলেছিলাম আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো যেন সাধারণ মানুষ ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমাদের সদস্যরা কাজ করেছেন। দেশের মানুষ বলেছে, আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতায়। এবারও আমরা চেষ্টা করবো দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুলিশের সব ইউনিট যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করছে। ড্রোন দিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবো। গতবারে সড়কের পরিস্থিতি ভালো থাকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, গতবার আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একটি, এবার আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে তিনটি। গতবার আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল সুরক্ষিতভাবে যাত্রীদের বাড়িতে পাঠানো ও ফেরত আনা। এবারের তিনটি চ্যালেঞ্জ হলো- পশুর হাটের নিরাপত্তা ও পশুবাহী ট্রাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এ সময় মৌসুমি ফলবাহী পরিবহনের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, শিল্প পুলিশের প্রধানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যেকোনো চক্রান্ত ঠেকানোর সামর্থ্য সরকারের আছে: আইজিপি

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের সব মানুষ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো ধরনের চক্রান্ত রুখে দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশ সরকারের আছে। আজ শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে বাইপাইল ত্রিমোড়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, এদেশের সম্মান, স্বাধীনতা বিনষ্ট করার জন্য দেশীয় যে কুচক্রী মহল জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পাশপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একনিষ্ঠভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে সেই স্বড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা দেশের সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের সদস্যরা মাঠে থাকবে। আমরা আরেকটি কথা জানাতে চাই, ঈদে ঢাকা ছেড়ে যারা গ্রামের বাড়িতে যাবেন তারা মূল্যবান সম্পদসহ আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবেন। আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন ফ্ল্যাট-বাড়ি এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, যে কোন প্রয়োজনে আপনারা পুলিশের সহায়তা নিন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করে আমাদের জানান। এই পরিস্থিতিতে আমাদের মোটরসাইকেল টিম সবসময় সড়কে থাকবে। আমাদের সদস্যরা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য পুলিশের সিনিয়র সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার, আমরা তা করছি। আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রোজার ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল সেটা মাথায় রেখে এবারও সাজিয়েছি। তবে ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহায় চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। এবার একদিকে যেমন যাত্রী সাধারণ গন্তব্যে যাবেন, অন্যদিকে পশুবাহী ট্রাক যাতায়াত করবে। এছাড়াও যেহেতু এখন মৌসুমী ফলের সময়, তাই সেই গাড়িগুলোও আসবে। সবকিছু বিবেচনায় রেখেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আশা করছি এবারও যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে সক্ষম হবো। আইজিপি বলেন, আগে মহাসড়কে যেমন খানা-খন্দ বেশি ছিল, রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল, বর্তমানে সেটা অনেক ভালো। উন্নয়নের অনেক কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। তারপরও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাপথ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের হয় সেজন্য সবাই মিলে কাজ করছি। পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি লেভেলের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে যাত্রী সাধারণের গমন নির্বিঘœ করতে নিয়োজিত থাকবেন। আইজিপি বলেন, আমরা গরুবাহী পরিবহনের ও হাটের জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছি। গরুবাহী পরিবহন যে হাটে যাবে তারা যেন পরিবহনের সামনে ও পেছনে হাটের নামসহ ব্যানার সাটিয়ে দেয়। এতে সড়কে কেউ গরুবাহী পরিবহন নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে পারবে না। করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমাদের পুলিশের প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। আইজিপি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে একসময় মানুষ যে কটাক্ষ করতো, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপান্তর হয়েছে। গর্বের পদ্মা সেতু এখন আমাদের বাস্তবতা। পুলিশপ্রধান বলেন, আপনারা দেখেছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে ছিল, সেখান থেকে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা আছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে আইনশৃঙ্খলাকে সমুন্নত রেখেছি। নিরবচ্ছিন্নভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, গতবার আপনাদের সামনে এসে বলেছিলাম আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো যেন সাধারণ মানুষ ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমাদের সদস্যরা কাজ করেছেন। দেশের মানুষ বলেছে, আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতায়। এবারও আমরা চেষ্টা করবো দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুলিশের সব ইউনিট যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করছে। ড্রোন দিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবো। গতবারে সড়কের পরিস্থিতি ভালো থাকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, গতবার আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একটি, এবার আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে তিনটি। গতবার আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল সুরক্ষিতভাবে যাত্রীদের বাড়িতে পাঠানো ও ফেরত আনা। এবারের তিনটি চ্যালেঞ্জ হলো- পশুর হাটের নিরাপত্তা ও পশুবাহী ট্রাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এ সময় মৌসুমি ফলবাহী পরিবহনের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, শিল্প পুলিশের প্রধানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।