২২ বছর আগের মালি হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

- আপডেট সময়ঃ ১২:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
- / ১৪২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় ২২ বছর আগে এক মালিকে হত্যার ঘটনায় নার্সারি মালিক এবং আরেক মালিকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদ আজ রোববার আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- নার্সারী মালিক মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে লিটন এবং মালি আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারুল। তারা দুজনেই পলাতক। মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে তাদের। দ-িত মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আর আনোয়ারে বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বাগানের কাজকর্ম নিয়ে ঝগড়ার জেরে ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খুন হন মুস্তাফিজুর রহমানের নার্সারির মালি আবুল হোসেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। মামলার বিবরণে জানা যায়, কুর্মিটোলায় জমি লিজ নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ওই নার্সারি চালু করেন আবুল হোসেন। নার্সারির কর্মচারীদের নিয়োগ, বেতনসহ সব কিছু দেখাশোনা করতেন মুস্তাফিজ। আবুল হোসেন ছিলেন প্রধান মালি। ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে মুস্তাফিজ নার্সারিতে গিয়ে দেখেন আবুল নার্সারিতে নেই। অন্য মালিদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, এক আত্মীয়কে দেখতে আবুল হাসপাতালে গেছেন। এর দুই দিন পর ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আবুল হোসেনের মৃতদেহ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি ম্যানহোলের মধ্যে। পরে নার্সারির দুই মালিকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় নার্সারি মালিক মুস্তাফিজ ও মালি আনোয়ারকে। ওই ঘটনায় নার্সারি পরিচালনায় যুক্ত আবু তাহের ৭ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৬৪ ধারায় দুই আসামির দেওয়া জবানবন্দির বরাতে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারা আবুল হোসেনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ম্যানহোলের মধ্যে লাশ ফেলে দেন। ২০০৩ সালের ২৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। পরে জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যান দুই আসামি। রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক গতকাল রোববার দুই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল। রাযের ঘোষনার পর এজলাসে উপস্থিত বাদী পক্ষের কর্মচারী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “রায়ে আমরা খুশি।”