ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

কুমিল্লায় বাবা হত্যার দায়ে ৩ সন্তানের মৃত্যুদণ্ড

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে তিন সন্তানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খাঁন এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজি আবদুল করিমের ছেলে ফয়েজ উল্লাহ, অহিদ উল্লাহ, শহীদ উল্লাহ। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত আরও চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয় এবং মৃত আরেক আসামি ফারুককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাবা হাজি আবদুল করিম তিনটি বিয়ে করেন। দ-প্রাপ্তরা সবাই তার প্রথম ঘরের সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাদের অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি আবার বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা হয়। ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট সকালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাবা হাজি আবদুল করিমের ওপর হামলা করলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন তৃতীয় স্ত্রী সাফিয়া বেগম। কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, মামলার রায় হয়েছে তবে এখনও নথি হাতে আসেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুমিল্লায় বাবা হত্যার দায়ে ৩ সন্তানের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময়ঃ ১০:২৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে তিন সন্তানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খাঁন এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজি আবদুল করিমের ছেলে ফয়েজ উল্লাহ, অহিদ উল্লাহ, শহীদ উল্লাহ। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত আরও চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয় এবং মৃত আরেক আসামি ফারুককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাবা হাজি আবদুল করিম তিনটি বিয়ে করেন। দ-প্রাপ্তরা সবাই তার প্রথম ঘরের সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাদের অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি আবার বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা হয়। ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট সকালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাবা হাজি আবদুল করিমের ওপর হামলা করলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন তৃতীয় স্ত্রী সাফিয়া বেগম। কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, মামলার রায় হয়েছে তবে এখনও নথি হাতে আসেনি।