০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

সপ্তম সাঙ্গু সেতু খুলবে থানচির সম্ভাবনার দুয়ার

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সাঙ্গু নদীতে নির্মিত সপ্তম সেতু খুলবে উপজেলার সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বলিপাড়া থেকে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া অভ্যন্তরিণ সংযোগ সড়কটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যুক্ত করবে নতুন মাত্রা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বলিপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদীর উপরে সপ্তম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ২৫৩ মিটার সেতু নির্মাণ কাজ শেষের কথাছিলো ২০২৩ সালের জুন মাসে। সেতুর এগ্রোচ সড়ক এবং রেমের কাজ চলমান রয়েছে। অপরদিকে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া চার কিলোমিটার সড়কসহ হালিরাম পাড়া খালের উপরে ছোট আরও দুটি সেতু নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দার থোয়াইচা মং, চসেসিং মারমা বলেন, বলিপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি আশপাশের পনেরটি পাহাড়ী গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সড়কটি চালু হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ী গ্রামগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। খুলবে পর্যটন শিল্প ও কৃষি বান্ধব অর্থনীতির সম্ভাবনার দুয়ার। উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করণের পথ তৈরি হবে, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে গ্রামের সাধারণ পাহাড়ি।

থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং বলেন, বলিপাড়া হালিরামপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়কটি চালু হলে বদলে যাবে থানচি উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের পাহাড়িদের জীবনযাত্রা। খুলবে পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী গ্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, বলিপাড়া এলাকায় নির্মিত সেতুটি হচ্ছে সাঙ্গু নদীর উপরে নির্মিত সপ্তম সেতু। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সেতু’টি আকর্ষণীয় ডিজাইন দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হচ্ছে। এটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের অগ্রাধিকার গ্রকল্প ছিলো। সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ গ্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত সেতুসহ সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

সপ্তম সাঙ্গু সেতু খুলবে থানচির সম্ভাবনার দুয়ার

আপডেট সময়ঃ ১১:২৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সাঙ্গু নদীতে নির্মিত সপ্তম সেতু খুলবে উপজেলার সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বলিপাড়া থেকে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া অভ্যন্তরিণ সংযোগ সড়কটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যুক্ত করবে নতুন মাত্রা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বলিপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদীর উপরে সপ্তম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ২৫৩ মিটার সেতু নির্মাণ কাজ শেষের কথাছিলো ২০২৩ সালের জুন মাসে। সেতুর এগ্রোচ সড়ক এবং রেমের কাজ চলমান রয়েছে। অপরদিকে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া চার কিলোমিটার সড়কসহ হালিরাম পাড়া খালের উপরে ছোট আরও দুটি সেতু নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দার থোয়াইচা মং, চসেসিং মারমা বলেন, বলিপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি আশপাশের পনেরটি পাহাড়ী গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সড়কটি চালু হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ী গ্রামগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। খুলবে পর্যটন শিল্প ও কৃষি বান্ধব অর্থনীতির সম্ভাবনার দুয়ার। উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করণের পথ তৈরি হবে, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে গ্রামের সাধারণ পাহাড়ি।

থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং বলেন, বলিপাড়া হালিরামপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়কটি চালু হলে বদলে যাবে থানচি উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের পাহাড়িদের জীবনযাত্রা। খুলবে পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী গ্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, বলিপাড়া এলাকায় নির্মিত সেতুটি হচ্ছে সাঙ্গু নদীর উপরে নির্মিত সপ্তম সেতু। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সেতু’টি আকর্ষণীয় ডিজাইন দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হচ্ছে। এটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের অগ্রাধিকার গ্রকল্প ছিলো। সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ গ্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত সেতুসহ সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।