• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হচ্ছে নবনির্মিত স্টেডিয়াম ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৬৭ জনের মৃত্যু সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২,৭৭,৯৭৩ অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি: কৃষিমন্ত্রী ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: কাদের টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ১৫ দিনব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

জীবদ্দশায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর দেখে যেতে চান প্রধান বিচারপতি

Reporter Name / ৩৪ Time View
Update : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজের জীবদ্দশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহনকারী একটি জাদুঘর দেখে যেতে চান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। এখান থেকেই প্রথম মিছিল বের হয়েছিল। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত ফোক ফেস্ট ও শীতকালীন পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আপিল বিভাগের বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা ভাষার মাস। এই মাসে আমরা অনেক অনুষ্ঠান করে থাকি। এই অনুষ্ঠানগুলো আমরা বাংলায় করি। বাংলায় কথা বলার ওপর একটি চাপ আছে। বিশেষ করে আমরা যারা এই আইন অঙ্গনে আছি তাদের ওপর একটি বাড়তি চাপ আছে। উচ্চতর আদালতে কেন বাংলা ভাষা প্রচলন নেই বা বাংলা ভাষা কম কেন, সেই প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই বাংলা ভাষায় রায় দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমি বলেছিলাম, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আমতলা থেকে। ভাষা আন্দোলনের মিটিং হয়েছিল বর্তমান জহুরুল হক হলের পুকুর পার থেকে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কি কোন জাদুঘর আছে? আমি কিছুদিন আগে দেখে এসেছি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ওপর ভিত্তি করে পাঞ্জাবের অমৃতসরে একটি জাদুঘর করা হয়েছে। যেখানে গেলে মনে হয় আমি ১৯৪৭ সালে ফিরে গিয়েছি। ঠিক একইভাবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর করা হোক। যেখানে গেলে মনে হবে আমি ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ভিসি তখন আমার কথা নোট নিয়েছেন এবং বলেছেন তিনি এটা করবেন। তখন আমি বলেছি আমরা জীবিত থাকা অবস্থায়ই যেন এটা করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশীয় বিভিন্ন পিঠা, জিলাপি, চটপটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সবশেষে লোকসংগীত পরিবেশন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category