গত তিন বছর হজ যাত্রীদের ভোগান্তি হয়নি: ধর্মমন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
- / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, গত তিন বছর ২০২২, ২৩ ও ২৪ সালে এয়ারলাইন্সগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ যাত্রীদের ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবারে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। ফরিদুল হক খান বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ হতে কেউ সৌদি আরব যাননি। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ যাত্রীদের ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি। তবে এ ধরনের সমস্যা নিরসনকল্পে ভবিষ্যতে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সসমূহের সাথে আলোচনা করে শিডিউল নির্ধারণ করা হবে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ, এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৭ পর্যায় প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত ইমামদের মাসিক সম্মানী পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পকে বিস্তৃত করে ইমামদের প্রতিমাসে বেতন ও ঈদ বোনাসসহ দেওয়া হয়। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম -৬ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রকল্প কেবলমাত্র শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা দানের জন্য গৃহীত তথাপি কেন্দ্র শিক্ষকরা সম্মানী বাবদ মাসে পাঁচ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিতদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী। সংসদ সদস্য (এমপি) মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দেশের সব জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে। ওই মসজিদগুলোতে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে দেওয়া হবে। ফরিদুল হক খান বলেন, বর্তমানে দেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তাদের প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে দেশের অন্যান্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের পর্যায়ক্রমে সন্মানীর আওতায় আনা হবে। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর নূন্যতম ৫ হাজার ৫শ জনকে চার হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হয়ে থাকে। এছাড়াও ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে সর্বমোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আয়বর্ধক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ট্রাস্টের আয় বাড়লে ভবিষ্যতে দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অনুদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদের ডেটা বেইস তৈরির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।