অর্থ অপচয় বন্ধ করতে হবে: অর্থ-পরিকল্পনা উপদেষ্টা

- আপডেট সময়ঃ ০৯:২৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ৯৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্থ-পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবতা ও বরাদ্দ কী হবে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থ অপচয় বন্ধ করতে হবে। বাইরের টাকা ইচ্ছে মতো খরচ নয়। স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ছাড়া কিছু চলবে না। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসিতে পরিকল্পনা কমিশন, মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য ও জীবন জীবিকার প্রকল্প চালু রাখা হবে। বড় বা মেগা প্রকল্পের অর্থ ছাড় বড় হয় তাই এই বিষয়ে পরে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বার্ষিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এটা নিয়ে চিন্তা করার কারণ। অনেক পিডি চার প্রকল্পের দায়িত্বে। চারটা প্রকল্পে দায়িত্ব মানে চারটি গাড়ি। এটা চলবে না। আমি অ্যাসেস করে দেব। অনেকে কম টাকা ব্যয় করতে পারে না। ক্লাইমেট বিরাট ব্যাপার, বন্যা হয় পরিবেশের নামে অনেক টাকা খরচ হয়। প্রকল্পে সমন্বয়হীনতা আছে এটা দূর করতে হবে। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা আছে। সাপ্লাই চেইন নেই। ছয় টাকার বেগুন ৮০ টাকায় কেন? বাজার মনিটরিং নিয়ে কাজ করবো। কিছু বন্ধু-বান্ধব রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে পরিবহনে টাকা তোলে তাদের বলবো দাঁড়িয়ে থাকবেন না। এদিকে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি এবং মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির তথ্য প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কয়েকদিনের স্থবিরতার কারণে ভেঙে পড়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল। যার প্রভাবে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। তবে এখন বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে আসবে। তিনি বলেন, শুধু জরুরি প্রকল্প ব্যয়ে অর্থের যোগান দেওয়া হবে। স্থবিরতার যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে। কম টাকা ব্যয় করে বেশি সুফল মেলে এমন সব প্রকল্পে অর্থ ছাড় করা হবে বেশি। অর্থনৈতিক নানান সূচকে তথ্যের গরমিল এখন থেকে আর হবে না। পরিসংখ্যান ব্যুরো যাতে আরও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে।