পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ

- আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। অল্প একটু যা সমস্যা হয়েছে তা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে (পার্বত্য অঞ্চল) নেটসেবা নির্বিঘœ আছে। ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাধানগরের দক্ষিণ আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী পুনর্বাসন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো স্থায়ী সংস্কারের আলোচনা চলছে, যেন ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের জনগণ আর বন্যায় কষ্ট না পায়। প্রাথমিক ভাবে গৃহ নির্মাণ এবং শিক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ বন্যায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি স্কুল কলেজ ডুবে যাওয়ায় চেয়ার টেবিল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের চলামান সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা তাই আমাদেরকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।এ জন্য কয়েকজন উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকায় যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশ সংকটকালের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, এসময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে, নানাভাবেই পরিস্থিতি সংঘাত পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ সতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি সরকার এ সকল বিষয় গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে, আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এরপর উপদেষ্টা ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবির প্রেক্ষিতে মুহুরী নদী খনন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ দ্রুততম সময়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। পরিদর্শনকালে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ শনিবার ফেনীর শহীদ ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের কবর জিয়ারাত করেন মো. নাহিদ ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। সরকারি তহবিল থেকে সেখানে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আহতদের তাছে দ্রুত আর্থিক সহায়তা তুলে দিচ্ছি। দীর্ঘ মেয়াদে আহত-নিহতদের পরিবারদের আর্থিক সহায়তা ও কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের সবগুলো বিষয় ডকুমেন্টেশন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ফুলগাজীর উত্তর আনন্দপুরের শহীদ ইশতিয়াক হোসেন শ্রাবণের কবর জিয়ারতের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ও শ্রাবণের পিতা নেসার আহমেদ। ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইশতিয়াক হোসেন শ্রাবণ শহীদ (নিহত) হন।