সর্বশেষঃ  
                                    
                            
                                চট্টগ্রাম পটিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে
                              							  দৈনিক আইন বার্তা									
								
                                
                                - আপডেট সময়ঃ ০৯:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
 - / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে
 
চট্টগ্রাম ব্যুরো
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা চাষের আওতায় আসছে ১০ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি
 সেচ প্রকল্পটি হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।১১৫৮ কোটির টাকার বিনিময়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। প্রকল্পের ভৌতকাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন প্রত্যেক উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পটি ১১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে । এ মেগা প্রকল্পটি চলমান কাজের আওতায় রয়েছে বাঁধ নির্মাণ ২৫.৫১ কিলোমিটার নির্মাণকাজ ৬০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে। ৩০ কি.মি খাল পুনঃখননের কাজ ১০০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে, গরুলোটা খালের ১০ কি.মি, শ্রীমাই খালের ৫ কি.মি, চানখালি খালের ৩.৫ কি.মি, বগাখাড়া খালের ২ কি.মি. আলম খাল, কাজির খালসহ আরও অন্যান্য খালের ১০ কি.মি খনন কাজ শেষ করা হয়েছে। নদীর তীর  সংরক্ষণ কাজ ২.৯৫ কিলোমিটার  ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। নাইখাইন গ্রামে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণকাজ ১৫ শতাংশ শেষ হয়েছে কাজ চলমান রয়েছে।  ৪.১০ কিলোমিটার ফ্লাড ওয়াল নির্মাণকাজ ৭৫ শতাংশ শেষ করা হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। সেচ রেগুলেটর নির্মাণ (স্লুইস গেট) ২৬টির মধ্যে ইতোমধ্যে কাজ ৪০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে।
কাজের অগ্রগতি দেখেই স্থানীয় লোকজন অত্যন্ত খুশি। এলাকা বাসীরা জানান, আমাদের পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা ও বন্যায় ধান নষ্ট হতো। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ১৭ ইউনিয়নের মানুষের সুফল আসবে,
জানা যায়, দীর্ঘদিন পটিয়ায় অনেক কৃষিজমি অনাবাদি পড়েছিল। এ প্রকল্পের কারণে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে। জলাবদ্ধতারোধ,
এদিকে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। ৫৮.৯২৮ হেক্টর জায়গার মধ্যে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৫২ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১১টি প্রস্তাবের মাধ্যমে ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাবের ডিএলসি মিটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি ৬টির কাজ চলমান রয়েছে মাঠ পর্যায়ে। এর মধ্যে ৪ ধারার নোটিশ যা ডিসি অফিস ও পাউবো’র যৌথ তদন্তের কাজ শেষ করা হয়েছে।
 চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-১ নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ বলেন,
প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ দেয়াল নির্মাণ, বেড়িবাঁধ ও সিসি ব্লকের বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজসহ ভৌত কাজের ৬৫ শতাংশ শেষ করা হয়েছে, সব ধরনের কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পটিয়ায় অনেক কৃষিজমি অনাবাদি পড়ে আছে। এ প্রকল্পের কারণে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে। পটিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উপজেলার  আশিয়া, হাবিলাসদ্বীপ, ধলঘাট, বড়লিয়া, দক্ষিণ ভূর্ষি, জঙ্গলখাইন, নাইখাইন, ভাটিখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, কেলিশহর ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবে। পটিয়ায় ২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদনসহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। পাশাপাশি নদী ও খালের ভাঙন থেকে সুরক্ষা পাবে। লবন পানি রোধ হবে। বর্ষায় থাকবে না জলাবদ্ধতা, হবে না কৃষিজমির ধান নষ্ট। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পটি ২০২১ একনেক সভায় পাস হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ১১শ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের ভৌতকাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর এ প্রকল্প নির্মাণকাজ শেষ হবে।
                            
                                 ট্যাগস : 
                                                            
                   
                        
                            
																			
																		





















